Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মদের আসরে গুলিতে জখম

ফের গুলি মালদহে। সোমবার রাতে ইংরেজবাজার থানার লালাপুর গ্রামে মদের আসরে গোলমালের জেরে চলল গুলি। তাতে জখম হলেন এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম তাজবুল শেখ। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১৬
Share: Save:

ফের গুলি মালদহে। সোমবার রাতে ইংরেজবাজার থানার লালাপুর গ্রামে মদের আসরে গোলমালের জেরে চলল গুলি। তাতে জখম হলেন এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম তাজবুল শেখ। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত ওই গ্রামেরই বাসিন্দা আব্বাস শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানায় পুলিশ। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্রটি যুবক পেল কোথা থেকে তা দেখা হচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার থানার অমৃতি গ্রামপঞ্চায়েতের লালাপুর গ্রামের আমবাগানে বেআইনি ভাবে চলছে মদের ঠেক। একে ঘিরে প্রায়ই এলাকায় গোলমাল হয়। বাগানের মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মদের আসর। এ দিন রাতে তাজবুল তাঁর তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাগানে যায়। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় আব্বাস শেখও। অভিযোগ, মদের দাম দেওয়া নিয়ে তাজবুলের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় আব্বাসের। তারপরেই আব্বাস তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি চালায়। তাজবুলের ডান পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে।

গ্রামবাসীরা তাজবুলকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্থানান্তরিত করেন কলকাতায়। মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি থাকাকালীন তাজবুল বলেন, ‘‘মদ খেয়ে টাকা না দেওয়ায় আমি টাকা চেয়েছিলাম। আমাকে গালিগালাজ করে আচমকা গুলি চালায়। ’’ অভিযুক্ত আব্বাসকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি গুলির খোল। পুলিশের অনুমান, আব্বাস ছিনতাই, ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। গ্রামে গুলি চলায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা বেআইনি মদের ঠেক বন্ধেরও দাবি তুলেছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Firring Injured Illegal Liquor shop
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE