ছবি সংগৃহীত।
এমনিতেই দু’ঘণ্টার বেশি দেরিতে চলছিল ট্রেন। সেই সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করলে আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল ট্রেনে।
রবিবার বেলা ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ির কাছে পদাতিক এক্সপ্রেসে। সেই সময় পদাতিক শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে নিউ কোচবিহারের দিকে যাচ্ছিল। এসি টু টিয়ারে বি-টু কামরায় ওই ঘটনার সময় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ট্রেনে। আতঙ্কে যাত্রীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। অবস্থা বুঝতে পেরে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। রেল কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পরে ফের ট্রেন রওনা হয়। যাত্রীরা অবশ্য কেউই আর সেই কামরায় ছিলেন না। তাঁরা পাশের কামরায় আশ্রয় নেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে সেখানে আগুন লেগেছিল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা অবশ্য বলেন, “আগুনের কোনও বিষয় ছিল না। সেখানে অ্যালার্ম চেন টানা হয়েছিল।”
ওই ঘটনায় রেলের তরফে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপির জলপাইগুড়ির পর্যবেক্ষক তথা কোচবিহার জেলার বাসিন্দা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তিনি ওই ট্রেনেই কলকাতা থেকে কোচবিহার ফিরছিলেন। তিনি ছিলেন ওই কামরার ঠিক পাশে, বি-ওয়ান কামরায়। তিনি বলেন, “আমি ওই ট্রেনের যাত্রী ছিলাম। যে জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে তা হওয়ার কথা নয়। কেন এমনটা হল? দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কোনও গাফিলতি ছিল কি না তা দেখা দরকার।” সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য সমস্যা থাকলেও রেলের পরিষেবা অনেক ভাল হয়েছে। আগামীতে এই পরিষেবা আরও ভাল হবে। সরকার ও রেল মন্ত্রক সেই লক্ষ্যেও কাজ করছে।” যাত্রীরাও জানান, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পর ট্রেন অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। সেই সময়ই ময়নাগুড়ির কাছে ধোঁয়ায় ভরে যায় ওই কামরা। ধোঁয়া ট্রেনের বাইরেও বেরোতে থাকে। এক যাত্রী ফেসবুক লাইভ করে তা দেখাতেও শুরু করেন। সেখানে অনেকেই তা নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি, যেখানে এসি’র কানেকশন রয়েছে তার কাছেই কিছু বেডরোল রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে থেকেও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এক যাত্রী বলেন, “এ দিন বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ট্রেনের কামরায় এসি চলছিল না। গরমে সবাই হাঁসফাঁস করছিল। সেই সময় ওই ঘটনা ঘটে। এই সব বিষয় না লুকিয়ে ট্রেনের আরও নজর দেওয়া উচিত।”
আগুন নিয়ে নয়, দেরি নিয়েও ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, একদিন নয়, ট্রেন প্রায়ই দিনই দেরি করে নিউ কোচবিহার ও নিউ আলিপুরদুয়ার পৌঁছয়। তিন ঘণ্টার বেশি দেরি হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, পরিষেবা যাতে দ্রুত স্বাভাবিক যাতে হয় সে ব্যাপারে নজর দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy