নিয়ন্ত্রণ: আগুন নেভাচ্ছেন দমকল বাহিনীর কর্মীরা। শনিবার। ইসলামপুর থানার মহব্বতপুরে। নিজস্ব চিত্র
এক কৃষকের ধানের গাদায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়াল। ঘটনার জেরে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙায়। ওই কৃষক যোগেশ্বর বিন এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। যোগেশ্বরের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে তাঁর আড়াই বিঘা জমির প্রায় ৬০ হাজার টাকার ধান পুড়ে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দল ধানের গাদায় আগুন দিয়েছে। যদিও বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেন ও রায়গঞ্জ দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক শুভজিৎ বিশ্বাস জানিয়েছেন, কী ভাবে আগুন লাগল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
যোগেশ্বর জানান, তাঁর বাড়ির কাছে ১২ বিঘা জমির ধান তিনি গাদা করে রেখেছিলেন। আজ, রবিবার সে ধান ঝাড়াই করার কথা ছিল। পুলিশ ও দমকল সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বাসিন্দারা যোগেশ্বরের সে ধানের গাদায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। যোগেশ্বর বলেন, “বিরোধীরা শত্রুতা করে ধানের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে আমার সন্দেহ। পুলিশের কাছে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা ললিতপ্রসাদ বিন বলেন, “এলাকায় রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে না পেরে বিজেপি, সিপিএম কিংবা কংগ্রেসের মধ্যে কোনও দলের লোকজন যোগেশ্বরবাবুর ধান পুড়িয়ে দিয়েছে।”
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের অবশ্য বক্তব্য, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ওই ব্যক্তির ধানের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের দাবি, “কংগ্রেস তৃণমূলের মতো হিংসার ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে না।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম পালের দাবি, ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের কোনও সম্পর্ক নেই। দুর্ঘটনাবশত, ওই ব্যক্তির ধানের গাদায় আগুন লেগে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy