নড়বড়ে: এমন কাঠের সেতু ঘিরেই উদ্বেগ। নিজস্ব চিত্র
দু’পাশে কাঠের রেলিং। নীচে লোহার লম্বা পাটাতনটিকে ধরে রেখেছে কাঠ ও লোহার থাম। পাথর বা বালির ভারী গাড়ি গেলেই থরথর করে কাঁপে গোটা সেতু। ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ার যেতে সঞ্জয়, দোলং, বুড়ি তোর্সা, মরা তোর্সা নদীর উপর এমন সেতুগুলির উপর দিয়ে যেতেই এখন ভয় পাচ্ছেন সকলে। তাঁদের ক্ষোভ, অজস্রবার দাবি জানিয়েও প্রশাসন সেতুগুলির হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়নি।
এমনিতে ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ারের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। তবে ওই দুর্বল সেতুগুলির কারণে জেলা শহরে পৌঁছাতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। ফালাকাটা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নান্টু তালুকদার বলেন, ‘‘ফালাকাটা কিষান মান্ডির সামনে একটি ছোট নদীর উপর কাঠের সেতু আছে। মান্ডি থেকে বের হওয়া সবজি বোঝাই লরিগুলির ভারে মাঝে মধ্যেই কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’
সেতুগুলির এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ শাসক-বিরোধী সব পক্ষই৷ এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপক বর্মনের অভিযোগ, ‘‘আমরা বহুবার সেতুগুলি পাকা করার দাবি করেছি৷ এ বার বড় আন্দোলনে নামার কথা ভাবা হচ্ছে৷’’ তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার- ১ নম্বর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক নিখিল পোদ্দারের অভিযোগ, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের গড়িমসির জন্য সেতুগুলি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে৷ যার জেরে প্রতি মুহূর্তে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষকে৷ যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য কৃষকরাও মার খাচ্ছেন৷’’
ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী বলেন, ‘‘ফালাকাটায় জাতীয় সড়ক তৈরির কাজ প্রায় শেষ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবার ব্রিজ তৈরির কাজে হাত দেবে। আশা করছি ব্রিজগুলি পাকা হতে বেশি সময় লাগবে না।’’ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তাও বলেন, ‘‘ওই জায়গা দিয়ে প্রস্তাবিত চার লেনের রাস্তা হবে৷ যার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সেই রাস্তা হলেই এলাকার সেতুগুলিও পাকা করে দেওয়া হবে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy