—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রেল দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে অ্যাম্বুল্যান্স এবং আরও কিছু গাড়ি গিয়েছিল। যাতায়াতের রাস্তা সে ভাবে ছিল না। ফসলের জমির উপর দিয়ে দুর্ঘটনাস্থল পর্যন্ত রাস্তা করতে হয়েছিল। সেখানকার ফসল নষ্টের অভিযোগ তুলছেন চাষিরা। প্রচুর মানুষ পায়ে হেঁটেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তখন আর চাষের দিকে খেয়ালই রাখেননি স্থানীয়দের কেউ বলে অভিযোগ। রেল লাইন ঠিক করতে, ভাঙা কামরা সরাতে ভারী গাড়ি, বেশ কয়েকটি ‘আর্থমুভার’ যন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে। তাতেও ফসল নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। চাষিরাও সে দিন এ দিকে আর নজর দেননি। তখন তাঁদের কাছে উদ্ধারকারীদের পাশে দাঁড়ানোই ছিল প্রধান লক্ষ্য।
শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার ছোট নির্মলজোতে রেল দুর্ঘটনার পরে কেটেছে ৪৮ ঘণ্টা। সোমবার ইদের নমাজ থেকে এসেই অনেকে ছুটেছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধারে-সাহায্যে। পরদিন মঙ্গলবার কার্যত নিয়ম রক্ষার উৎসবে শামিল হয়েছিলেন অনেকে। বুধবার দুর্ঘটনার আতঙ্ক ভুলে অনেকে কাজে ফেরার চেষ্টা করেন। তখনই তাঁদের নজরে পড়ে, চাষের ফসল নষ্ট হয়েছে অনেক জায়গায়। অভিযোগ উঠেছে ক্ষতিপূরণ নিয়ে। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, ‘‘চাষিদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে শুনেছি। কৃষি দফতরকে জানিয়ে কী ভাবে সাহায্য করা যায়, দেখতে বলা হয়েছে।’’ ব্লক কৃষি দফতরের তরফে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ দিন ফজিরুল রহমান, মহম্মদ সিরাজ উদ্দিন, মহম্মদ আজিবুল এবং আরও কয়েক জন চাষি এনজেপি জিআরপিতে যান। তাঁদের দাবি, জিআরপিতে ডেকে নাম নেওয়া হয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। তবে তাঁদের চাষবাস করে সংসার। ফসল নষ্টের ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। তাই ক্ষতিপূরণ পেলে উপকৃত হবেন।
শিলিগুড়ি রেল পুলিশের সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘‘তদন্তের জন্য স্থানীয়দের ডাকা হতেই পারে। আমরাও প্রত্যক্ষদর্শীদের ডাকব। তবে ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে কেউ এলে, উচ্চ স্তরে জানান হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy