উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মর্গের সামনে মৃতার পরিবার-পরিজন। —নিজস্ব চিত্র।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে আশঙ্কাজনক অবস্থার পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মৃত সান্ত্বনা রায়ের দেহ ময়না তদন্ত করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মর্গের দেহ নিয়ে গেলেও রোগীর পরিবার সমস্ত প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফির দাবি করলে ময়না তদন্ত আটকে পড়ে। তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়েরা। সকাল থেকে নানা টালবাহানার পরে বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ ভিডিওগ্রাফি সহকারে ময়না তদন্ত শুরু হয়।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, স্যালাইনের মান নিয়ে তাঁদের সন্দেহ রয়েছে। তাই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ করেছেন। নানা অজুহাতে গত দু’দিন ধরে দেহের ময়না তদন্ত করা হয়নি। এ দিনও ভিডিওগ্রাফি সহকারে ময়না তদন্ত করতে চাইছিলেন না মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। পরে তাঁরা রাজি হন।
ফরেন্সিক বিভাগের দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিয়ম মেনে ভিডিওগ্রাফির প্রয়োজন হলে তবেই তা করা হয়। মৃতার দেওর সুনীল মাতব্বর বলেন, ‘‘আমরা ময়না তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করার দাবি জানালেও, প্রথমে তা করা হচ্ছিল না। স্যালাইনেই নিশ্চয় কিছু সমস্যা ছিল। তা না হলে ময়না তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করতে কীসের সমস্যা। শেষ পর্যন্ত তাঁরা মেনে নিয়েছেন।’’
পুলিশ, পরিবার সূত্রে খবর, হাসপাতালে রোগী আশঙ্কাজনক হলে গত ২০ জানুয়ারি পরিবারের তরফে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রোগীর পরিবার মৌখিক ভাবে প্রসূতিকে দেওয়া স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গড়ে ঘটনা খতিয়ে দেখছেন। স্যালাইনের জন্যই মৃত্যুর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy