প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি এমন এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধার জন্য কেরোসিন তেল দেওয়ার বন্দোবস্ত করল মধ্য শিক্ষা পর্যদ। পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানান, মাধ্যমিকের ১৫ দিন আগে থেকে ‘অ্যাডমিট কার্ড’ দেখালেই পর্যাপ্ত কেরোসিন তেল পাবে পরীক্ষার্থীরা। স্থানীয় রেশন দোকানে গেলেই তা মিলবে।
সম্প্রতি মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসন, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল, পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয় মধ্য শিক্ষা পর্যদের উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের। সেখানেই ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই মতো ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তাতে ওই সমস্ত এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বিশেষ করে দুঃস্থ পরিবারের পরীক্ষার্থীদের অন্তত ৩ লিটার করে কেরোসিন তেল দেওয়ার কথা জানানো হয়।
পর্ষদের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক শাখার বিশেষ উপসচিব প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রস্তুতি বৈঠকে ওই ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়। বিভিন্ন এলাকার ফুড ইন্সপেক্টররা সেই ব্যবস্থা করবেন বলে ঠিক হয়েছে।’’
পর্ষদ সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিহারের গলগলিয়া এবং নেপালের সীমান্ত ঘেঁষা শিলিগুড়ির খড়িবাড়ির প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। দেবীগঞ্জ হাইস্কুলের পড়ুয়াদের অনেকেই কেরোসিনের আলোয় পড়াশোনা করেন।
তেমনই কোচবিহারের বামনহাট, গীতালদহ এবং ছিটমহলের বাসিন্দাদের যে সমস্ত এলাকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে, তার অনেক ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ নেই। মালদহের, দিনাজপুরের কিছু প্রত্যন্ত এলাকাও বিদ্যুৎহীন। বাড়তি কেরোসিন তেল পেলে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হবে।
সেই সঙ্গে, বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট যাতে না-ঘটে, সে জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কাছে আবেদন করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে যে সব রুটে গাড়ি নেই সেখানে গাড়ির ব্যবস্থা করতে পুলিশ, প্রশাসন, সরকারি, বেসরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বছর উত্তরবঙ্গে মোট ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯২৪ জন মাধ্যমিক দিচ্ছে। তারা জানায়, ৬৭৫টি স্কুলে পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। ১৩৯টি কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রগুলোর পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করা হবে। মালদহে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি ৪৮ হাজার ৪৬৯ জন। জিটিএ অন্তর্ভুক্ত পাহাড়ে ১০ হাজার ১৮৯ জন। শিলিগুড়ি মহকুমায় ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৪ জন।
অন্য জেলাগুলোর পরীক্ষার্থীদের তালিকায় কিছু সংযোজন চলছে। তা বাদ দিয়ে এখন পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার, আলিপুরদুয়ারে ২২ হাজার ১৮২, দক্ষিণ দিনাজপুরে সাড়ে ২২ হাজার, উত্তর দিনাজপুরে ৩৫ হাজার ৬০০, কোচবিহারে ৪২ হাজার ৪০০ জন।
স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে নজরদারির বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। ভিডিও রেকর্ডিংয়ের পাশাপাশি ক্ষেত্র বিশেষে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার বন্দোবস্তও রাখা হচ্ছে। কোন কেন্দ্রগুলো স্পর্শকাতর আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য সচিব, শিক্ষা সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে জানিয়ে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy