গত তিন মাসে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন লোকালয়ে অন্তত ১৫ বার বাইসন হানা দিয়েছে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বাইসন রুখতে এ বার তাই কোচবিহারের পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল লাগোয়া চত্বরে বিদ্যুৎ-বেড়া (ফেন্সিং) বসাতে তৎপর বন দফতর।
দফতর জানায়, কয়েক বছর আগে পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ৩০-৩৫টি বাইসন ছিল। অনুকূল পরিবেশ বেড়ে তা অন্তত একশো হয়েছে। তা ছাড়া, তোর্সা পেরিয়ে চিলাপাতার জঙ্গল থেকে পাতলাখাওয়ার দূরত্ব বড়জোর ৬-৭ কিলোমিটারের মধ্যে। সেখান থেকেও বাইসন ঢুকে পড়ছে বলে দাবি। সব মিলিয়ে তাই প্রায় ১১ কিমি এলাকা জুড়ে ফেন্সিং বসানোর চিন্তাভাবনা হয়েছে।
দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুন ‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ও তৈরি করেছে তারা। এত দিন শুধু একটি ‘মোবাইল পেট্রোলিং টিম’ ছিল। কোচবিহারের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাইসনের ঢুকে পড়ার ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন রেসপন্স টিম কাজ শুরু করেছে। আলাদা গাড়িও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সচেতনতা বাড়াতে জোর দেওয়া হচ্ছে।” পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের আশঙ্কা, গরমে জঙ্গলে জলের সমস্যা হলে বাইসনের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যাবে। কোচবিহারের এডিএফও বিজন কুমার নাথ জানান, জঙ্গলে খাবার, পর্যাপ্ত জল রয়েছে। তার পরেও পরিস্থিতির দিকে বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)