কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড়। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুজোর আগে শেষ রবিবারের বাজার জমে উঠল দুই দিনাজপুর ও মালদহে। ফলে, স্বস্তি ফিরেছে তিন জেলার ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘গত সপ্তাহেও দুই দিনাজপুর ও মালদহে সে ভাবে পুজোর বাজার জমেনি। ফলে তিন জেলার ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছিলেন। রবিবার থেকে বাজার জমে ওঠায় আশঙ্কা অনেকটাই কেটেছে।’’
এ দিন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, করণদিঘি, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার পোশাক, জুতো ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান ও শপিংমলগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছিল। রায়গঞ্জ শহরের বিধাননগর মোড়ে একটি পোশাকের দোকানের বাইরে পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড়ের লাইন দেখা গিয়েছে। শহরের নিউমার্কেট এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী রঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘পুজো পর্যন্ত বাজার এ ভাবে জমে থাকলে ভাল।’’
অন্য দিকে, এ দিন বালুরঘাট ছাড়াও জেলার প্রতিটি ব্লক ও শহরে পোশাক, জুতো ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গঙ্গারামপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ী পরিমল মণ্ডল বলেন, ‘‘বেচাকেনা ভালই হয়েছে।’’ বালুরঘাট শহরে এ দিন জুতোর দোকানগুলিতেও ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি। বালুরঘাটের পোশাক ব্যবসায়ী সুমিত আগরওয়ালের মতে, পুজো পর্যন্ত বাজারে ক্রেতাদের ভিড় থাকবে।
এ দিন সকাল থেকেই মালদহের ইংরেজবাজার শহরের নেতাজি কমার্শিয়াল মার্কেট, নেতাজি পুর বাজার, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মার্কেট সহ অন্য বাজারগুলিতে পোশাক ও জুতার দোকানে উপচে পড়া ভিড় ছিল। নেতাজি কমার্শিয়াল মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী মনোজ সাহা, সঞ্জীব দাস, প্রদীপ কুণ্ডু জানিয়েছেন, আগামী তিন-চার দিনে পুজোর কেনাকাটা আরও ভাল হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। চাঁচল, গাজল, রতুয়া, পাকুয়াহাট, বুলবুলচণ্ডী, মানিকচক, বৈষ্ণবনগরেও রবিবাসরীয় বাজার ছিল জমজমাট। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, ‘‘দেরিতে হলেও পুজোর বাজার জমেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy