—ফাইল চিত্র।
দু’টি মৃত্যুর জেরে দাড়িভিটে পুজোর রং এবার ফ্যাকাশে। মৃত রাজেশ সরকারের বাড়ি সংলগ্ন পুজো এবার হচ্ছে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকার বাকি দু’টো পুজোও নমে নমো করেই সারা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট আয়োজকেরা।
দাড়িভিটে গুলি-কাণ্ডের পর গ্রামের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু শোকের আবহ আজও কাটেনি এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই তালাবন্ধ দাড়িভিট স্কুল।
এলাকার অনেককেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশের ভয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। বাসিন্দাদের দাবি, নিহত দুই যুবক রাজেশ ও তাপস বর্মণ পুজোর সময় ক্লাবের পুজোয় হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করতেন।
স্থানীয় সুত্রের খবর, সম্প্রতি দাড়িভিট বাজারের পুজো নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন আয়োজক কমিটির সদস্যরা। পুজো হবে কি হবে না, সে-ব্যাপারে স্থির কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত জাঁকজমক না করে শুধু ঘট বসিয়েই পুজো করবেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। ওই পুজো কমিটির সম্পাদক সুবোধ মজুমদার বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ শোকাহত। পুজোর তো সবই ঠিক হয়েছিল। প্যান্ডেলের আগাম বায়নাও দেওয়া হয়েছিল । প্রতিমাও ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু পুজোর আগেই এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল। এলাকার মানুষ শোকাহত।’’ ওই পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ পবন সরকার বলেন, ‘‘পুজোর অনুমতি নিয়েই পুজো হয়। তাই একবার বছর অনুমতি না নিলে পরের বছর সমস্যা হয়। অনুমতি নিয়ে প্রথম দিন ঘটপুজো করব। আর অন্য কোনও পুজো হবে না।’’ তবে এলাকার বাসিন্দারা জানালেন, তাঁদের মন খুব খারাপ। পুজো কী করে হবে।
একই পরিস্থিতি দাড়িভিটের মাঠপাড়ার পুজোরও। সেখানে পুজো হবে কিনা তা নিয়েও সংশয়
তৈরি হয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা চন্দন বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের বয়সি এক যুবক মারা গেল। কী করে পুজো করব! ফের বৈঠক করব, আমরা চাই এবার পুজোটা বন্ধ থাকুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy