চাউমিন দিতে দেরি। এই অভিযোগে পিস্তল বের করে বিক্রেতাকে লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। আওয়াজ শুনে তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক সাব ইন্সপেক্টর।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার চম্পাসারি এলাকার মিলন মোড়ে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়।
যে সময়ের ঘটনা, তখন এলাকায় বিসর্জনের মিছিল চলছিল। গুলি চালানোর পর আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হলে অভিযুক্ত যুবক ভিড়ের মধ্যে মিশে পালায়। জখম এসআইকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, রাতেই অস্ত্রোপচার করে গুলিটি বার করা হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তল্লাশিও চলছে। দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সঙ্গে ক’জন ছিল সেটাও দেখা হচ্ছে।’’ জখম পুলিশ আধিকারিককে পুরস্কারের সুপারিশও করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অভিযুক্ত যুবক সদলবলে সন্ধ্যা থেকেই এলাকার কয়েকটি দোকানে গোলমাল পাকিয়েছে। রাতে চম্পাসারির মিলন মোড়ে রাস্তার ধারের খাবারের স্টলে যায় তারা। চাউমিন বিক্রেতা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে এক প্লেট চাউমিন দিতে বলে ওই যুবক তাড়া দিতে থাকেন। তিনি তড়িঘড়ি এক প্লেট চাউমিন তাঁকে দেন। তা শেষ হতেই আরেক প্লেট দেওয়ার জন্য জোড়জুড়ি শুরু করেন ওই যুবক। চাউমিন বিক্রেতা বলেন, ‘‘ভাল করে দাঁড়াতে পারছিল না। উল্টে, গালি দিচ্ছিল। আমি চাউমিন দিতে একটু দেরি হবে বলায় হঠাৎ দেখি গুলি চালিয়ে দিল। ঘাবড়ে গিয়ে মাথা নীচু করে বেঁচে যাই।’’ ওই সময়ে কাছেই সাদা পোশাকে কর্তব্যরত ছিলেন পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর। তিনি ছুটে গিয়ে ওই যুবককে ধরতে যান। ততক্ষণে যুবকটি আরেকবার গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিটি এসআইয়ের পায়ে লাগলে তিনি বসে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে ভিড়ে মিশে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী ও তাঁর শাগরেদরা।
ঘটনা হল, চলতি পুজোয় শিলিগুড়িতে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য রুখতে পুলিশ কমিশনার প্রায় প্রতিটি মোড়ে সাদা পোশাকের অফিসার ও কনস্টেবলদের মোতায়েন করেন। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই বিপদ এড়ানো গিয়েছে। মিলন মোড় ব্যবসায়ী সমিতির কয়েকজন জানান, সাদা পোশাকের পুলিশ যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাতেই চাউমিন বিক্রেতা বেঁচে গিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এলাকায় তোলাবাজি থেকে শুরু করে বালি-পাথর তোলার মাফিয়া চক্রের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন যুবক পুজোর ক’দিন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ওপরে দাদাগিরি চালিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy