জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ।
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে যাঁরা যাঁরা জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে রেখে জলপাইগুড়িতে জেলা কমিটি গড়ল তৃণমূল। বুধবার এই কমিটি গঠনের পাশাপাশি, দেওয়া হল ‘দলীয় অনুশাসন ও শৃঙ্খলা’র বার্তাও।
প্রাক্তন জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিককে দেওয়া হয়েছে জেলার মুখ্য সঞ্চালকের দায়িত্ব। আর এক প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীকে রাখা হয়েছে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে। আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও। শুধু প্রাক্তন সভাপতিরাই নন, আগে যাঁরা ব্লক বা অঞ্চলের দায়িত্ব সামলাতেন, তাঁদেরও রাখা হয়েছে জেলা কমিটিতে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এই জেলা কমিটিতে দলে কোণঠাসা একাধিক নেতার পুনর্বাসনও হয়েছে। গত লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়িতে দলের বিপর্যয়ের পরে, সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে প্রয়াত কৃষ্ণকুমার কল্যাণী ব্লক কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন। সে সব ব্লক সভাপতিদের কেউ কেউ জেলা কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। এ দিন দলের কোনও মুখপাত্রের নাম ঘোষণা হয়নি। এত দিন জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা কিসান খেতমজুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথ মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলেছেন। সম্প্রতি সৈকত-বিতর্কে জেলা সভাপতির মতামতের ‘বিরোধিতা’ করে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন দুলাল। দলে অনুশাসন এবং শৃঙ্খলা নিয়েও এ দিন কমিটি ঘোষণার পরে, বার্তা দিয়ে জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “তৃণমূল একটা পরিবার। সেখানে নানা মত থাকতে পারে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলা রয়েছে, গঠনতন্ত্র রয়েছে। সে সব কথা দলের মধ্যে যথাযথ ভাবে বলতে হবে। বাইরে কেন বলা হবে?”
এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনা’ দেওয়ায় অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি জানিয়েছিলেন, এটি সৈকতের ব্যক্তিগত বিষয়। বিষয়টিকে ‘ব্যক্তিগত’ নয়, ‘রাজনৈতিক’ দাবি করে সৈকতের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা মুখ খুলেছিলেন দুলাল দেবনাথ। এ দিন দুলাল বলেন, “মুখপাত্র রাজ্য থেকে ঘোষণা করে। নতুন করে যখন রাজ্য কিছু ঘোষণা করেনি, তার অর্থ, আমিই মুখপাত্র রয়েছি।” আত্মহত্যায় প্ররোচনা-বিতর্কের পরে, এই প্রথম মহুয়া-সৈকত সাক্ষাৎ। তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষণার পরে, মহিলা এবং যুব তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষিত হয়েছে। যুব সভাপতি সৈকত যখন জেলা কমিটি গঠন করছেন, তখন তাঁর পাশে কিছু সময়ের জন্য বসে ছিলেন মহুয়া। পরে, কমিটি ঘোষণার মাঝেই মহুয়া উঠে ভিতরের ঘরে চলে যান।
জেলা কমিটিতে এ বার মুখ্য সঞ্চালকের দায়িত্ব দিয়ে প্রাক্তন সভাপতি চন্দন ভৌমিককে ফের সক্রিয় করার চেষ্টা হয়েছে। অন্য দিকে, জেলার সরকারি আইনজীবী গৌতম দাসকে একমাত্র সহ-সভাপতি করা হয়েছে। জেলার সরকারি আইনজীবী গৌতম দাস এর আগের সব কমিটিতেই সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy