দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্তা এবং জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায়।
জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং মেল চালু করা নিয়ে বিজেপির দুই সাংসদ জলপাইগুড়ির জয়ন্ত রায় এবং দার্জিলিঙের রাজু বিস্তার ‘মতানৈক্য’ প্রকাশ্যে এসে পড়ল। দলের এই দুই সাংসদের দুই মত নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। বুধবার বাগডোগরা হয়ে রাজু বিস্তা শহরে ফেরেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, দার্জিলিং মেল এনজেপি স্টেশনের পরিবর্তে হলদিবাড়ি থেকে ছাড়ছে, এটা তাঁর জানা ছিল না। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁকে বুঝিয়েছেন। তিনি জানান, শীঘ্রই নতুন ঘোষণা হবে, যাতে আগের মতোই দার্জিলিং মেল এনজেপি থেকেই ছাড়ে।
জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় তা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘দার্জিলিং নামের সঙ্গে আমাদের রাজ্যের, দেশের গর্ব জড়িয়ে। দার্জিলিং মেল এখন যে ভাবে চলছে, সে ভাবেই চলবে। সেই সঙ্গে হলদিবাড়ি থেকে নতুন ট্রেন চালানো হলে আরও ভাল।’’ তিনি বোঝাতে চান, নিউ জলপাইগুড়ি তাঁরই সাংসদ এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই এনজেপি থেকে দু’টি বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রস্তাবও তিনি দিয়েছেন। এনজেপির পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে ওই ট্রেন চলবে। বিস্তার দাবি, ‘‘দার্জিলিং মেল একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। এই ট্রেনের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যখনই জানতে পেরেছি, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁকে বিশেষ নিবেদন করেছি, দার্জিলিং মেল আগের মতো চলুক। রাতে এক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ুক। হলদিবাড়ির জন্য আলাদা একটি ট্রেনের সুবিধা দেওয়া হোক। শীঘ্রই এ নিয়ে ঘোষণা হবে।’’
বিজেপির অন্দরে এই ট্রেন নিয়ে এই চাপান-উতোর সামনে আসায় তৃণমূল কটাক্ষ করেছে। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘দার্জিলিঙের সাংসদ যদি বলেন বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না, তা হলে প্রশ্ন ওঠে, তিনি কেমন সাংসদ যে তাঁকে না জানিয়েই রেলমন্ত্রী ট্রেনের গন্তব্য বদলালেন! তিনি কেনই বা জানেন না? এখন তিনি আগের মতো ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করুন।’’
শিলিগুড়ি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছিলেন আগের মতোই ট্রেনটি শিলিগুড়ি থেকে চালানো হোক। হলদিবাড়ির মানুষের কথা ভেবে তাঁদের জন্য অন্য ট্রেন দেওয়া হোক। শিলিগুড়ি ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারও রেলকে চিঠি দিয়ে আগের মতো এনজেপি থেকে দার্জিলিং মেল চালানোর আর্জি জানান। এ দিন শিলিগুড়ি মেয়র বলেন, ‘‘ট্রেনটির গুরুত্ব নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।’’
আগেও অনেক বার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের স্টপের দাবি উঠেছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। জলপাইগুড়িতে রাজধানী এক্সপ্রেস বা হলদিবাড়ি থেকে দিল্লিমুখী কোনও ট্রেন চালুর দাবি উঠেছে। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা স্টেশনে শতাব্দী এক্সপ্রেস ও দক্ষিণ ভারতগামী অনেক ট্রেনেরই স্টপের দাবি উঠেছে বারবার। এলাকার মানুষের এই ধরনের দাবির পিছনে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী আশ্বাসও জুড়েছে বরাবর। স্থানীয় ট্রেনের দাবির পিছনে রাজনীতির বাধ্যবাধকতাও রয়েছে কোথাও কোথাও।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘রেল মন্ত্রক যেমন নির্দেশ দেবে, সে অনুযায়ী, পদক্ষেপ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy