অনুষ্ঠানের চিঠি।
চিঠিতে প্রাপকের নাম লেখা রয়েছে স্বর্গীয় নকুল রাজবংশী। চিঠিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবস পালন হবে। ‘স্বর্গীয়’ শিক্ষকের ‘উপস্থিতি এবং সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সর্বাঙ্গ সুন্দর’ হয়ে উঠবে। চিঠি লিখেছেন জলপাইগুড়ি জেলার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) স্বপন সামন্ত। ‘স্বর্গীয়’ শিক্ষককে সম্মান জানানো হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছিল। এই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় চিঠির ছবি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান চলাকালীন বিব্রত হয়ে পড়েন স্বপনবাবু। তিনি বলেন, “ওটা ভুল হয়ে গিয়েছিল। দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।”
শিক্ষক দিবসের জেলা পর্যায়ের সরকারি অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত এবং প্রবীণ শিক্ষকদের সম্মান জানানো হয়। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এ বারের অনুষ্ঠানে মৃত্যু হয়েছে এমন একাধিক শিক্ষককে ‘ডাক’ পাঠিয়েছিল জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর। পরিদর্শকের দফতর ভুল স্বীকার করে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় অনুষ্ঠান শুরুর সময় জেলা পরিষদ হলে গিয়ে দেখা যায় দর্শকাসনে বসে রয়েছেন জনা দশেক। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুনীল কুমার অগ্রবাল সওয়া একটা নাগাদ জেলা পরিষদে আসেন। তখন মঞ্চে অনুষ্ঠানের ব্যানার লাগানো হচ্ছে। কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক বিরক্তি প্রকাশ করে চলে যান। ঘণ্টাখানেক ধরে অপেক্ষা চলতে থাকে কিন্তু দর্শক সংখ্যা বা়ড়ে না। হঠাৎই এক শিক্ষিকার খেয়াল হয়, শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান অথচ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের কোনও ছবি নেই। খোঁজ হয় ছবির। দুপুর দু’টোর পরে ছবি আসে। দেড় ঘণ্টা পরে শুরু হয় অনুষ্ঠান। তখনও দর্শকাসন খাঁ খাঁ করছে। অতিরিক্ত জেলাশাসককে ডেকে আনা হয়। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিক বক্তৃতায় বলেই ফেলেন, “এ বছরের অনুষ্ঠান দৃষ্টিকটু লাগল। আগামীবার আয়োজন ভাল হবে আশা করি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy