কাজলকুমারী শাহ। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের প্রায় এক বছর পার হলেও ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ উঠল। এমনকি, বেশ কয়েক বার বিডিও অফিস এবং পুরসভা অফিস ঘুরেও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে বলে অভিয়োগ। বিয়ের এক বছর পরেও ‘রূপশ্রী’র সুবিধা না পাওয়ায় রীতিমতো হতাশ জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের এক নবদম্পতি।
ধূপগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিলপাড়ার বাসিন্দা রাজকুমার শাহের মেয়ে কাজলকুমারী শাহের বিয়ে হয়েছিল গত বছর। ১ মার্চ বিয়ের দিনেই ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের জন্য খোঁজখবর করে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। তবে ওই পর্যন্তই! এর পর বছরখানেক পেরিয়ে গেলেও মেলেনি ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের সুবিধা। এমনই অভিযোগ করেছে কাজলের পরিবার। কাজলের মা নীলম দেবী শাহ বলেন, ‘‘মেয়ের বিয়ে দিয়েছি এক বছর পার হয়ে গেল। তবে ‘রূপশ্রী’র সুবিধা পেলাম না। কত বার বিডিও অফিস গিয়েছি। পুরসভার অফিসেও গিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’’ তাঁর আক্ষেপ, ‘‘আমরা গরিব মানুষ, ধারদেনা করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। ‘রূপশ্রী’র টাকাটা পেলে কিছু টাকা তো হাতে পেতাম!’’ মায়ের মতোই আক্ষেপ শোনা গেল কাজলের কথায়। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিয়ের দিন ‘রূপশ্রী’র ব্যাপারে তদন্ত করতে দু’জন অফিসার এসেছিলেন। তার পর তো আমি শ্বশুরবাড়ি চলে যাই। কত বার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট দেখেছি। মা-কে বিডিও অফিসে পাঠিয়েছি। কিন্তু, এক বছর হতে চলল, ‘রূপশ্রী’র টাকা পেলাম না।’’
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ‘রূপশ্রী’র সুবিধা তা হলে ঠিক কত দিনে পাওয়া যায়? সরকারি সুবিধা পেতে সাধারণ মানুষকেই বা কত দিন অফিসে-অফিসে ঘুরতে হবে? ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা জানি। ওই মেয়েটির কাগজপত্রে কিছু ত্রুটি ছিল। যার ফলে টাকা পায়নি। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। ওই মেয়েটির পরিবার যাতে দ্রুত টাকা পায়, তার ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy