বালুরঘাট কলেজ।
আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ— সব জেলারই অন্যতম কলেজগুলির উপরেই তৈরি হয়েছিল নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যতিক্রম ছিল দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়। নিজস্ব জমি থাকলেও, তাতে বাড়ি তৈরির অনুমোদন পাননি কর্তৃপক্ষ। পরিকাঠামোর অভাবে এখানে-ওখানে ঘুরে ক্লাস করাতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। অথচ, ২০১৮ সালে বালুরঘাট কলেজ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কলেজ থেকেই চালানো হোক বা বালুরঘাট কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকাঠামোর মধ্যে মিশে যাক। তা নিয়ে নতুন করে তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলেই খবর।
দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন তৈরির সময় বালুরঘাট কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে ফেলার কথা ছিল না। পরে, বালুরঘাট কলেজ কর্তৃপক্ষই প্রস্তাব দেয়, কলেজটিকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হোক। সেখানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর দুটি বিভাগই থাকুক। তা হয়নি। নিজস্ব ভবনে বাড়িও হয়নি। এখন নানা জায়গায় ঘুরে-বেড়াতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বালুরঘাট কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি সানোয়ার মোল্লা বলেন, ‘‘আমিও চাই, বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি জায়গায় আসুক। আমরা নতুন করে প্রস্তাব দেব জেলার মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের ‘দলাদলির’ কারণেই নাকি সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় বালুরঘাট কলেজ থেকে শুরু হতে পারেনি। যদিও জেলা তৃণমূল নেতারা তা মানেননি। কিন্তু বার বার এক জায়গায় থেকে অন্য ১জায়গায় যাওয়ার জন্য খরচও হয়ে যাচ্ছে প্রচুর সরকারি টাকা। বালুরঘাট কলেজে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সবই রয়েছে। পরিকাঠামোও পর্যাপ্ত। তাই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় চলে গেলে স্থানান্তরে সরকারি অর্থ তছরুপ বন্ধ হবে। স্থায়ী পরিকাঠামোয় উন্নত মানের শিক্ষা পাবে ছাত্রছাত্রীরা। সে কারণেই কর্তৃপক্ষ চাইছেন, বালুরঘাট কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় ফিরিয়ে আনতে। রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বৈরথে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্য দেবব্রত মিত্রের সঙ্গে বনিবনাও হচ্ছে না রাজ্য সরকারের। উপাচার্য দেবব্রত মিত্র বলেন, ‘‘এটা করলে তো খুবই ভাল। অন্তত ছাত্রছাত্রীরা ভাল ভাবে পড়ার সুযোগ পাবে।’’ আইনে বলা ছিল না বলে এখন কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে গেলে রাজ্য ক্যাবিনেটের অনুমোদন দরকার বলেই শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy