—প্রতীকী চিত্র।
কয়েক বছর আগেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা প্রেম দিবসে একটি গোলাপ ফুলেই কাজ চলে যেত। কিন্তু ধীরে ধীরে গৌড়বঙ্গেও ১৪ ফেব্রুয়ারির সংস্কৃতি লাফিয়ে বেড়েছে কয়েক গুণ। এখন লাগে এক গুচ্ছ গোলাপ। তা-ও তা কোন জাতের তা নিয়েও বাছবিচার বেড়েছে গৌড়বঙ্গের এই প্রজন্মের তরুণ তরুণীদের মধ্যেও। 'ভ্যালেন্টাইন্স ডে' আর সরস্বতী পুজো একসঙ্গে পড়েছে। গোলাপের বাজার গত বছরের তুলনায় তিন গুণ চাঙ্গা বলেই আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 'প্রেম দিবস' ঘিরে টগবগে আবেগ।
রেস্তরাঁয় খাওয়া হোক বা না হোক, প্রেমিকাকে একগুচ্ছ গোলাপ দেওয়া চাই! যে গোলাপ অন্য দিনে ১০ টাকায় বিকোয়, এই দিনে তার দাম ২০-২৫ টাকা ছুঁয়ে যাচ্ছে। এমনকি, ভাল টকটকে লাল গোলাপ প্রতি পিস ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, বালুরঘাট, মালদহ, রায়গঞ্জের ফুল বাজারে। প্রেয়সীকে গোলাপের তোড়া দিতে টাকা জমিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের ঢিটলহাটের জীতেশ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘সাত বছর ধরে ওকে গোলাপ দিয়ে আসছি। তাই দাম যতই হোক না কেন, এ বছরও গোলাপ কিনতে হবে। এতে যদি পকেট ফাঁকা হয় হোক।"
গৌড়বঙ্গের ফুল ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, নদিয়া, পাশকুড়া, হাওড়া থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ আসছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। ডাচ, মিনু পার্ল, মন্টেজ়ুমার মতো প্রজাতির গোলাপের রংও নানা রকম। তবে বাজারে লাল, হলুদ ও সাদা গোলাপের চাহিদাই বেশি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকেই গোলাপের বাজার চাঙ্গা বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। মালদহে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল বলে কলকাতা থেকে নিয়মিত ফুলের আমদানি রয়েছে তাই প্রতি পিস লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। তবে ১৪ তারিখ দাম বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর, ডালখোলা-সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে স্থানীয় গোলাপ ফুলের দাম তেমন বাড়েনি বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। রায়গঞ্জ-সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে রবিবার স্থানীয় গোলাপ এক-একটি ১০-২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে সেই সব গোলাপের মান ভাল নয় বলে ক্রেতাদের অনেকের দাবি।
জেলায় বেঙ্গালুরুর লাল ও হলুদ গোলাপ এ দিন এক-একটি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রায়গঞ্জের মোহনবাটী এলাকার প্রবীণ ফুল ব্যবসায়ী তপন সাহা বলেন, "এ বছর জেলায় গোলাপ ফুলের জোগান পর্যাপ্ত থাকার কারণে, দাম তেমন বাড়েনি। জোগানের থেকে চাহিদা বাড়লে দাম বাড়তে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy