Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Dengue

ফের কাবু সুজাপুরই

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মালদহ জেলায় ১২৪৮ জন রোগীর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছিল। এর মধ্যে বেশি ২২৬ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়ে কালিয়াচক ১ ব্লকে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালিয়াচক (মালদহ) শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৯
Share: Save:

কালিয়াচকের সুজাপুর ও বামনগ্রাম মোসিমপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ঘরে ঘরে জ্বর। সুজাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান জিবু বিবিও জ্বরে আক্রান্ত। সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে অন্তত এক থেকে দেড়শো জন জ্বর নিয়ে চিকিত্সা করাতে আসছেন। ডেঙ্গির প্রকোপও বেশি কালিয়াচক ব্লকে, বিশেষ করে সুজাপুরে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানই বলছে, গত বছরের মতো এ বারও কালিয়াচক ১ ব্লকে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে সুজাপুরের অন্তত ১৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। যদিও বেসরকারি মতে সেই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মালদহ জেলায় ১২৪৮ জন রোগীর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছিল। এর মধ্যে বেশি ২২৬ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়ে কালিয়াচক ১ ব্লকে। তাতে সুজাপুর ও বামনগ্রাম-মোসিমপুর পঞ্চায়েত এলাকার রোগীর সংখ্যাই ছিল বেশি। এ বার এখনও পর্যন্ত জেলায় ২৪২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর হদিস মিলেছে এবং এর মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা সেই কালিয়াচক ১ ব্লকেই। ৩৮ জন আক্রান্ত সেখানে। সুজাপুর ও বামনগ্রাম-মোসিমপুরের ঘরে ঘরে এখন জ্বর। জ্বরে আক্রান্তরা কেউ স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে গিয়ে চিকিত্সা করছেন, কেউ সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা কেউ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি নার্সিংহোমে। সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি স্কুলপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ আমির।

তিনি বলেন, চার দিন আগে কাপুঁনি দিয়ে জ্বর আসে। সে দিন থেকেই হাসপাতালে ভর্তি। ডেঙ্গি হয়েছে কি না, সেই রক্তের রিপোর্ট পাননি। ডেঙ্গি আতঙ্ক রয়েছে। পাশের শয্যাতেই ভর্তি নারায়ণপুরের হাজেরা বেওয়া। তিনিও তিন দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। এই হাসপাতালের ডাক্তার সরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন জ্বরে আক্রান্ত অন্তত দেড়শো রোগী আউটডোরে দেখাতে আসছেন। যে রোগীদের সন্দেহজনক মনে হচ্ছে, তাঁদের রক্ত সংগ্রহ করে ডেঙ্গি কি না, তা পরীক্ষার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে, প্রয়োজনে ভর্তি করানো হচ্ছে।

সুজাপুর ও বামনগ্রাম-মোসিমপুরে ডেঙ্গি বা জ্বরের প্রকোপ বেশি কেন? জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বলছেন, ওই দুই এলাকায় বসতি একেবারে ঘিঞ্জি ও নিকাশির কোনও বালাই নেই। একাধিক রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। নিকাশি নালা হাতেগোনা যেগুলি রয়েছে সেগুলি কস্মিনকালে সাফাইও হয় না। যত্রতত্র আবর্জনা ডাঁই হয়ে থাকে। এলাকা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হওয়ায় রাস্তার পাশে অনেক গ্যারাজ রয়েছে এবং সেখানে পরিত্যক্ত টায়ার পড়ে থাকছে ও সেই টায়ারের জমা জলে ডেঙ্গির মশা বংশবিস্তার করছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE