—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামের পাহারায় বাংলা ভাষা জানা এবং বোঝা জওযানদের পাঠানোতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), দাবি সূত্রের। শুধু এ রাজ্য নয় দেশের যে প্রান্তেই বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে সেখানেও জওয়ানদের বাংলা ভাষা বোঝা এবং জানার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে অশান্তির প্রেক্ষিতে সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা বেড়েছে। প্রতিটি সীমান্ত চৌকিতে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে। বাহিনীর কিছু জওয়ান এবং এই অফিসারেরা যাতে বাংলা ভাষা পড়তে এবং বলতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে চাইছে বিএসএফ। বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন গ্রামে বাংলাদেশ অশান্তির পরে, অনুপ্রবেশ নিয়ে সতর্ক করতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে বিএসএফ। সে বৈঠকে কিছু আধিকারিককে হিন্দিতে কথাবার্তা বলতে শোনা যায়। সীমান্ত-সড়কে নজরদারি করা অনেক জওয়ান হিন্দি ছাড়া বাংলায় কথা বলতে বা বুঝতে পারেন না বলে গ্রামবাসীদের দাবি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই ভাষাগত ‘দূরত্ব’ দূর করতে চাইছে বিএসএফ। বাংলায় জন্ম বা পড়াশোনা—কোনওটিই নয় এমন অনেক বিএসএফ অফিসার এবং জওয়ান এ রাজ্যে এসে ব্যক্তিগত চেষ্টায় বাংলা বলতে এবং পড়তে শিখেছেন। তাঁদের সীমান্তবর্তী গ্রামে পাঠাচ্ছে বিএসএফ।
গোয়েন্দা এজেন্সিগুলির দাবি, এর ফলে দু’ধরনের সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমত, সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে বিএসএফের কর্তাব্যক্তিদের যোগাযোগ আরও মসৃণ হবে। তার জেরে, বিএসএফের সীমান্ত পাহারা এবং অনুপ্রবেশকারী ঢুকলে সে খবর বা তথ্য পাওয়া সহজ হবে। দ্বিতীয়ত, সীমান্তের ও পারে কোনও সমস্যা তৈরি হওয়ার উপক্রম হলে, সে সব খবরও জওয়ান বা অফিসারদের কানে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএসএফের এক কর্তার কথায়, “সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় ভাষাতে জনসংযোগ আরও নিবিড় হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy