প্রতীকী চিত্র।
জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে এক মূক-বধির আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনার পরে তিন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল ওই কিশোরী৷ এরপর একটি টোটোতে চেপে বাড়ি ফিরছিল৷ ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমে গিয়েছিল৷ অভিযোগ, রাস্তার পাশে সেই সময় ডাব বিক্রি করছিল চার জন৷ তারাই টোটোটি আটকায়৷ এরপর টোটো চালককে ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যায়৷ আরও অভিযোগ, সেখানে ওই চার জনের দু’জন কিশোরীকে গণধর্ষণ করে৷ বাকিরা সেই দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে৷ যদিও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, অভিযোগ পত্রে ধর্ষনের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার কথা বলা নেই৷
সূত্রের খবর, এরই মধ্যে বন কর্মীদের একটি দল এলাকায় টহল দিচ্ছিল৷ তাঁরাই বিষয়টি প্রথম দেখতে পান৷ তাঁদের হাতে দুজন ধরাও পড়ে যায়৷ কিন্তু বাকি দু’জন জঙ্গলের পথ ধরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ বন দফতরের কর্মীরাই জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে দুই অভিযুক্তকে মাদারিহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন৷ পরে আরও এক অভিযুক্ত ধরা পড়ে।
গত কয়েক বছরে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ধর্ষণ, গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই অভিযোগ করেন পুলিশের নজরদারির অভাবে এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে৷ যার পরিণতি এই গণধর্ষণের ঘটনা৷ যদিও পুলিশের কর্তারা তা মানতে চাননি৷ তাঁদের কথায়, জঙ্গল লাগোয়া এলাকা হলেও, সেখানে সব সময়ই পুলিশের টহল চলে৷
পুলিশ সূত্রের খবর, রাতেই বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাড়ির লোকেরা৷ যার ভিত্তিতে ধরা পরা দুই ব্যক্তি রাজীব রায় ও জাকির হোসেন। পরে ধরা পড়ে দীপ রায়।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, “এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে৷”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy