—ফাইল চিত্র।
দাড়িভিট কাণ্ডের জন্য কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে দায়ী করে অভিযোগ তুলে ছিলেন নিহত পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে দুই শিক্ষক এবং এক শিক্ষাকর্মী ওই ঘটনার পরে স্কুলে আসছিলেন না। প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁরা স্কুলে এসেছেন খবর পেয়ে তাঁদের ঘেরাও করে আটকাতে চলে আসেন নিহতদের পরিবারের লোকেরা। এক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী তত ক্ষণে স্কুল থেকে চলে যান। অপর শিক্ষক সুদীপ্ত সিংহকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন নিহতের পরিবার সদস্যরা। গত শনিবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দাড়িভিট হাই স্কুলে। পরে অবশ্য পুলিশ পৌঁছলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আজ সোমবার, তাঁরা ফের স্কুল যাবেন কি না তাঁরা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল দাড়িভিট হাইস্কুল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা কলেজ পড়ুয়া রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের। গুলিতে আহত হয়েছিল ওই স্কুলেরই এক ছাত্র বিপ্লব সরকারও। ঘটনার পর থেকে নিহতদের পরিবার স্কুলে তালা দেওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ ৪ শিক্ষক ও এক শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিহতের পরিবার সদস্যরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদাকে সাসপেন্ড করে শিক্ষা দফতর।
১০ নভেম্বর তাঁদের দাবিগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখার শর্তসাপেক্ষ স্কুল খুলতে দিলেও স্কুলে দেখা যায়নি স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুদীপ্ত সিংহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষক আসারুল হক ও করণিক আসিফ ইকবালকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁরা স্কুল গিয়েছিলেন বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই শিক্ষকেরা এসেছেন তা জানতে পারেই এলাকার লোকজনকে নিয়ে স্কুলে যান নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। ততক্ষণে স্কুল থেকে আসিফ ও আসারুলবাবু দুজনে বেরিয়ে গেলও স্কুলে ছিলেন শিক্ষক সুদীপ্ত সিংহ। এদিন তাকে দেখেই রীতিমত ক্ষোভ উগরে দেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুলতে নারাজ সুদীপ্তবাবু। তিনি বলেন, "আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এ সম্পর্কে আর কোনও মন্তব্য করব না। "
শিক্ষকদের একাংশ জানান, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে স্কুলে প্রত্যেকের উপস্থিতি জন্য জানানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে। সেই কারণেই তাঁরা এদিন স্কুলে আসতে পারেন। নিহত তাপসের মা মঞ্জু দেবী বলেন, ‘‘শুনেছিলাম তিন জনই এদিন স্কুল এসেছিলেন। হঠাৎ করে কেন আসলেন জানি না। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। স্কুলে এসে এক শিক্ষককে দেখতে পেয়ে ক্ষোভ দেখানো হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তাদের আটকে রাখা হয়নি। উল্টে আমরাই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।" স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, বিষয়টি স্কুল পরিচালন সমিতির প্রশাসক তথা মহকুমা শাসক, বিডিও-কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy