ঘর থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ের দেহ। প্রতীকী চিত্র।
গ্রুপ ডি-র চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম ছিল তাঁর। ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রৌঢ়ের মৃতদেহ। এই ঘটনা শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার। কোচবিহারের হলদিবাড়ির দাড়িপট্টনি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ছিলেন দিলীপ বিশ্বাস (৪৬)। তাঁর মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।
আদতে জলপাইগুড়ি মরিচবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দিলীপ। শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ায় ভাড়া থাকতেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির ভাড়াবাড়ি থেকেই দেহ পাওয়া যায় তাঁর। বাড়িমালিক সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গতকাল (রবিবার) এক জন মহিলা দিলীপের ঘরের সামনে এসে তাঁকে ডাকাডাকি করছিলেন। ওই মহিলাকে এর আগে দেখিনি আমরা। স্কুলের চাকরির পাশাপাশি দিলীপ একটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সেই নির্মাণ সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেন ওই মহিলা। তিনি ডাকাডাকি করলেও দিলীপের কোনও সাড়া মেলেনি। অবশেষে পাড়ার কাউন্সিলরকে ডাকি। এর পর ঘরের পেছনের জানালা ভেঙে দেখি দিলীপ উল্টো হয়ে মশারি জড়িয়ে মেঝেয় পড়ে রয়েছে৷ তার পর পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ বহু বছর ধরেই দেশবন্ধুপাড়ায় থাকতেন। তিনি অবিবাহিত। দিলীপের দাদা দীনবন্ধু বিশ্বাসের দাবি, ‘‘চাকরি চলে গিয়েছে ভাইয়ের। তাই মানসিক অবসাদের কারণেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে তার।’’ দিলীপের ভাই সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, ‘‘বহু বছর ধরেই বাড়ির সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই ওর। তবে ওর চাকরি চলে গিয়েছে সেটা শুনেছি৷ হয়ত সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে। আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। ও কাকে টাকা দিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত হোক।’’
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘‘মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ওঁর পরিবারের পক্ষ থেকে যদি অভিযোগ জানানো হয় তবে অবশ্যই পুলিশ তদন্ত করবে।’’ পুলিশ দিলীপের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy