অতন্দ্র: দার্জিলিং শহরে সেনা পাহারা। শনিবার। ছবি: সন্দীপ পাল
শান্তি ফেরাতে আলোচনা শুরু হোক। চাইছে সমতলের ডান-বাম সব রাজনৈতিক দল।
শনিবার এই দাবিতে শিলিগুড়িতে মিছিল করে কংগ্রেস। বাঘাযতীন পার্ক থেকে হিলকার্ট রোড হয়ে ভানুভক্তের মূর্তির পাদদেশে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্য সরকারের ভুল পদক্ষেপেই পাহাড়ে অশান্তি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধীরবাবু। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘পাহাড় হাসছে নয়, পাহাড় জ্বলছে।’’
অগ্নিগর্ভ পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকই একমাত্র পথ বলে দাবি করেছেন অধীরবাবু। দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার জন্য কেন্দ্রকেও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আরও আধাসেনা কেন, প্রশ্ন কেন্দ্রের
পাহাড়ের জন্য পৃথক কমিটি রয়েছে কংগ্রেসের। দলের অন্দরের খবর, পাহাড়ের সংগঠন বর্তমানে শক্তিশালী নয়। সে কারণে সমতলেই মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস। পাহাড়ে সংগঠন না থাকলেও রাজ্যের ওপর চাপ তৈরির সুযোগ ছাড়তে চায়নি সংগঠন। সে কারণে খোদ প্রদেশ সভাপতিই এ দিন চলে আসেন শিলিগুড়িতে। অধীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ধুয়ো দিয়ে পাহাড়কে অশান্ত করে তুলেছেন। সমতলে যেমন দখলদারির রাজনীতি করেন পাহাড়েও তেমন করতে গিয়েছিলেন।’’এ দিনই পাহাড়ের ১৫টি বোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়েও কটাক্ষ করে অধীরবাবু বলেন, ‘‘বোর্ডের প্রতিনিধিদের কেউই কিন্তু গোর্খাল্যান্ডের বিরোধিতা করেননি, গুরুঙ্গের বিরুদ্ধেও কাউকে বলতে শোনা যায়নি।’’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘সিপিএম লাগাতার বন্ধের বিরোধিতাও করেছে। আবার রাজ্য সরকারও যে ভাবে পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী, সেনা নামিয়ে দার্জিলিঙের দখল নিতে চাইছে, তারও তীব্র নিন্দা করছি আমরা। সিপিএম এই পরিস্থিতিতে কোনও শর্ত আরোপ না করে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানাচ্ছে।’’ দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারও আলোচনার দাবি তুলেছেন। আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিজেপির দার্জিলিং জেলা কমিটিও। এ দিন সিপিআইএমএলের (লিবারেশন) রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষও বিবৃতিতে দাবি করেছেন, আলোচনা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy