—ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই যত গোলমাল। তার জেরে গুলিতে মারাও যায় দু’জন। অথচ সেই থেকে এখনও পর্যন্ত দাড়িভিট স্কুলে কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। উল্টে গোলমালের জেরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক সাসপেন্ড হয়ে আছেন এবং দু’জন শিক্ষক স্কুলে আসছেন না। এর ফলে অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যার ক্লাস করানোর শিক্ষক নেই স্কুলে।
কাজেই নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকেরা। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের জেরেই বিক্ষোভ-আন্দোলনে নেমেছিল পড়ুয়ারা। তা নিয়ে গুলি-বোমা এবং দুই কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যুতে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে দাড়িভিট স্কুল। রাজ্য জুড়েই ওই ঘটনায় হইচই পড়ে। ঘটনার পরে ২১ জন শিক্ষক চেয়ে আবেদন করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কবে তাঁরা শিক্ষক পাবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা ছাড়াও অনেক বিষয়েই শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেই কারণে স্কুল চালাতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছেন।
নতুন শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরু হয়েছে দাড়িভিট স্কুলে। শিক্ষক কম থাকায় রুটিন তৈরির ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। স্কুলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে ১৬ জন স্থায়ী শিক্ষক। বাকি পাঁচজন প্যারাটিচার। গুলি-কাণ্ডের পর শিক্ষক সমস্যা আরও বেড়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদাকে সাসপেন্ড করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুলে আসছেন না অঙ্কের শিক্ষক সুদীপ্ত সিংহ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক আসারুল হক। গুলি-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে ছিল তাদেঁর বিরুদ্ধেও। এখন ১২ জন স্থায়ী শিক্ষক দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এমন যে ওই স্কুলের পদার্থ বিঞ্জান, অঙ্কের শিক্ষক নেই। অথচ অনেক স্কুলে একটি বিষয়ে চার পাঁচজন করে শিক্ষকও রয়েছেন। সেই স্কুলগুলি থেকে এই স্কুলের জন্য আপাতত শিক্ষকের ব্যবস্থা করলে উপকৃত হত ছাত্রছাত্রীরাই। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, ‘‘শিক্ষক কম থাকায় সমস্যা রয়েছে। সেজন্য আবেদনও করা হয়েছে। রুটিন তৈরি করে সমস্ত ক্লাসই শুরু করা হবে।’’
২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই স্কুল চত্বর। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই তরুণ তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিল ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র বিপ্লব সরকারও। ঘটনার পর বিচারের দাবিতে স্কুলের গেট আটকে ধর্নায় বসেছিল নিহত দুই পরিবার। গত ১০ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষ তারা স্কুল খুলতে দিতে রাজি হয়। শিক্ষকের সমস্যার বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ মহকুমাশাসককেও জানিয়েছেন। তিনি এখন স্কুলের প্রশাসকও। মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্র বলেন, ‘‘শিক্ষকের সমস্যার বিষয়টি জেলা শাসকের মাধ্যমে স্কুল শিক্ষা দফতরে জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy