তিস্তার জল এভাবেই ঢুকছে গ্রামে। বাসুসুবায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
বর্ষা শুরুর আগেই বন্যার আতঙ্ক! জুন মাসের মাঝামাঝি সময়েই ফের দুর্ভোগের চেনা ছবি ফিরে এল। এক রাতের বৃষ্টিতেই ফিরে এল বর্ষায় বানভাসি হওয়ার আতঙ্কও।
সোমবার রাত থেকেই লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি ব্লকের সীমানাবর্তী দোমহনি ১ এবং চাপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে। গ্রামে জল ঢুকে ভাসিয়ে দিয়েছে বাড়ি। আসবাব নিয়ে নৌকায় এলাকা ছেড়েছেন অনেকে। তিস্তার পাড়ে থাকা এক হাজারেরও বেশি পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন।
সারারাত বৃষ্টির পরে মঙ্গলবার ভোর থেকেই তিস্তার পাড়ে একের পর এক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। দোমহনি এবং চাপাডাঙা এলাকায় চলতি মরসুমে এর আগেও তিস্তার জল বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এ বারেই চলতি বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়। ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী ও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীরা এলাকা পরিদর্শনে আসেন। গত বছরও এই এলাকার বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। দুর্ভোগে পড়েছিলেন হাজার হাজার বাসিন্দা। তার পরেও, এ বারে এক রাতের বৃষ্টিতে এক রাতের বৃষ্টিতেই এ ভাবে দুর্ভোগে পড়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
এ দিন মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি, জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক শ্রেয়শী ঘোষ , ময়নাগুড়ির বিডিও শ্রেয়সী ঘোষেরা এলাকা পরিদর্শন করেন। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও কাজে নামানো হয়। তিস্তা-সহ বেশ কিছু নদীরই জল বেড়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছে বলে জানান সৌরভবাবু। খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy