করোনেশন সেতু। ফাইল চিত্র।
সেবকে তিস্তার উপরে পুরনো করোনেশন সেতুর বিকল্প সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত এবং বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির প্রক্রিয়াতেই কেটে গেল তিন বছর। ২০১৯ সাল থেকে সেবকে বিকল্প সেতু তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। এখনও ডিপিআর তৈরির জন্য বেসরকারি সংস্থা নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। গুজরাতের মোরবি সেতু দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর একাংশের ফের প্রশ্ন, পুরনো সেবক সেতুর উপর দিয়ে আর কত দিন ঝুঁকির যাত্রা চলবে?
সেবক বাজার থেকে এলেনবাড়ি পর্যন্ত তিস্তার উপরে দ্বিতীয় বিকল্প সেতুর জন্য জায়গা চিহ্নিত করা এবং জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়াতেই প্রায় এক বছরের বেশি সময় চলে গিয়েছে। তার পরে, নতুন করে দেরি হচ্ছে বার বার ‘ডিপিআর’ তৈরির জন্য সংস্থা নিয়োগের টেন্ডার ডাকতে গিয়ে। এ ভাবেই সেবক সেতুর ঝুঁকি বেড়ে চলেছে বলে দাবি করছেন সেবকে সেতু আন্দোলনের নেতারা।
রাজ্য পূর্ত দফতরের বাস্তুকারদের ইঙ্গিত, নভেম্বর থেকেও যদি কোনও সংস্থা কাজ শুরু করে, কয়েকশো কোটি টাকার এই প্রকল্পের জন্য ‘ডিপিআর’ তৈরি করতেই অন্তত ছ’মাস পেরিয়ে যেতে পারে। পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা জানান, সংস্থা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। অক্টোবরেই শেষ দিন ছিল সে টেন্ডারে আবেদন জমা করার।
প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার সেতুর ‘ডিপিআর’ তৈরি এবং নজরদারি সংস্থা হিসেবে প্রকল্প দেখাশোনা করার জন্য ২২ কোটি টাকা খরচের কথা বলা হয়েছে। কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্প এমনিতেও আগামী অর্থবর্ষের আগে শুরুর কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই বলে খবর। স্থানীয় সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘সংসদে প্রস্তাবিত সেতু নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে টাকা বরাদ্দ হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy