প্রতীকী ছবি।
বালুরঘাটের পরে এ বার সাইবার হানার প্রভাব পড়ল মালদহ ও ধূপগুড়িতেও।
সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মালদহের দু’টি বিদ্যুৎ দফতরের কম্পিউটারে সাইবার হানা দেখা গিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ দফতরের কম্পিউটারগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে আতঙ্কে কর্মীরা অফিসের সমস্ত কম্পিউটারই বন্ধ করে রাখেন দিনভর। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর এবং বামনগোলা ব্লকের বিদ্যুৎ দফতরে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রথমে মথুরাপুরের অফিসে কম্পিউটারটি লক হয়ে যায়। তারপরই টাকা চেয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসতে থাকে। পরে দফতরের কর্মীরা সমস্ত কম্পিউটারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। একই অবস্থা এ দিন হয় বামনগোলাতেও। ফলে দফতরগুলির কম্পিউটারে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের।
মালদহের বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওন্যাল ম্যানেজার দিলীপ কুমার বাছার বলেন, ‘‘কম্পিউটারগুলি ঠিক করে চালানো প্রক্রিয়া চলছে। সাপ্লাই অফিসগুলিতে এমন হলে আমাদের তড়িঘড়ি জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
ভাইরাসের কবলে আক্রান্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের জেলা বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির ৩টি কম্পিউটারও। মঙ্গলবার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন কর্তৃপক্ষ। সোমবার সাইবার হানায় দফতরের ৩টি কম্পিউটার অকেজো হয়ে পড়ে। সকাল ১১টা নাগাদ কাজ শুরু করতেই বিষয়টি নজরে এলে দফতরে হইচই পড়ে যায়। বিদ্যুৎ দফতরের একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে ৩টি কম্পিউটার অচল হয়ে যায়। কম্পিউটারগুলি সচল করার জন্য ৩০০ ডলার দাবি করা হয়েছে। দফতর সূত্রের খবর, দু’তিন দিন ধরে তাদের কম্পিউটারগুলিতে শতাধিক ডলার দাবি করে মেসেজ আসছিল। কর্মীরা তা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু ইন্টারনেটে যুক্ত কম্পিউটারগুলি আর খুলছে না।
বিদ্যুৎ দফতরের আইটি বিভাগের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র মদন কামেত বলেন, ‘‘আপাতত দফতরের একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে ওই তিনটি কম্পিউটার আক্রান্ত। এরপরই দফতরের অন্য সব কম্পিউটারের সঙ্গে ওই তিনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিষয়টি কলকাতায় বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ তবে এ দিন গ্রাহক পরিষেবা ও দফতরের কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবে হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেন।
ধূপগুড়ি, বানারহাটের বিদ্যুৎ অফিসের কম্পিউটারেও একই প্রভাব পড়ে। যার ফলে বিল নেওয়া সহ যাবতীয় কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিল দিতে বা অন্য কাজে বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে আসা গ্রাহকরা নাজেহাল হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ধূপগুড়ির বিদ্যুৎ দফতরের কর্মিরা জানান, অফিস খুলে কিছু ক্ষণ কাজ করার পরেই সমস্যা হতে শুরু করে একের পর এক কম্পিউটারে। এই পরিস্থিতে কাজ বন্ধ রাখতে তাঁরা বাধ্য হন বলে দাবি তাঁদের। অফিসের কম্পিউটারে কিছু ক্ষণ কাজ করার পর দেখা যায় মনিটরে একটি লাল সাদা স্ক্রিন তালা লাগানো অবস্থায় চলে আসছে। ফাইল খুলতে গেলে সেখানে ন্যূনতম ৩০০ ডলার দিয়ে বিড শুরু করতে বলা হচ্ছে। এই অবস্থায় কর্মিরা কম্পিউটার বন্ধ করে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy