Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Child Trafficking

শিশু চুরি: সাক্ষ্যে ডাক সিডব্লিউসি সদস্যদের

সিডব্লিউসির যে পাঁচ জনকে সাক্ষীর তালিকায় রাখা হয়েছে, তাঁরা হলেন— বেবি উপাধ্যায়, সুবোধ ভট্টাচার্য, দেবাশিস চক্রবর্তী, রিঙ্কু বসু এবং মান্না মুখোপাধ্যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০২
Share: Save:

দত্তক দেওয়ার নাম করে হোম থেকে শিশু বিক্রির অভিযোগে মামলা শুরুর তিন বছরের মাথায় জলপাইগুড়ির তৎকালীন শিশু কল্যাণ সমিতির (সিডব্লিউসি) সদস্যদের সাক্ষী করল সিআইডি। সিডব্লিউসির পাঁচ সদস্যকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের দু’জন সরকারি আধিকারিককে মামলায় সাক্ষী করেছে সিআইডি। ১৪ অক্টোবর থেকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জলপাইগুড়ির হোম থেকে শিশু বিক্রি মামলা হাতে নেয় সিআইডি।

হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী-সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই দলে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীও। জুহি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়ে মুক্ত। অভিযুক্ত না হলেও এই মামলার চার্জশিটে বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নাম রয়েছে। এই মামলায় সিআইডি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়ার অনুমতিও চেয়ে রেখেছে আদালত থেকে। অর্থাৎ, মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় নতুন নামও সিআইডি জুড়তে পারে বলে আইনজীবীদের দাবি।

সিডব্লিউসির যে পাঁচ জনকে সাক্ষীর তালিকায় রাখা হয়েছে, তাঁরা হলেন— বেবি উপাধ্যায়, সুবোধ ভট্টাচার্য, দেবাশিস চক্রবর্তী, রিঙ্কু বসু এবং মান্না মুখোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি জেলার বর্তমান শিশু সুরক্ষা আধিকারিক-সহ আরও এক আধিকারিককেও ডেকেছে সিআইডি। শিশু বিক্রি মামলায় এর আগে তদন্তকারী অফিসার-সহ অনেকেরই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এবার সিডব্লিউসির সদস্যদের সাক্ষী করায় আইনজীবীদের দাবি, সিআইডি দ্রুত মামলা গুটিয়ে আনতে চাইছে। তৎকালীন সিডব্লিউসির সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতেই শিশু বিক্রির অভিযোগ নিয়ে নড়াচড়া শুরু হয়। তার পরেই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি।

জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে চলতি মাসেও একাধিক সাক্ষ্যগ্রহণ রয়েছে। আজ বুধবারেও মামলার নথিপত্র বাজেয়াপ্তর সময় উপস্থিত থাকা কয়েক জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। মামলা শুরু পরে সিআইডি এই প্রথম সিডব্লিউসি সদস্যদের ডাকল, দাবি সূত্রের। সদস্যদের কয়েক জনের দাবি, তাঁদের বয়ানও এত দিন সিআইডি নেয়নি। সিডব্লিউসির চেয়ারপার্সন বেবী উপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের যা জানা আছে, তাই আদালতে জানাব।’’ সিআইডির একটি সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালে জলপাইগুড়িতে কর্মরত কয়েকজন সরকারি আধিকারিককেও সাক্ষ্য দিতে ডাকা হতে পারে। চার্জশিটে দলের নেতানেত্রীদের নাম থাকা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, “গল্পের গরুকে গাছে তুলে আমাদের নেতা-নেত্রীদের মামলায় জড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। আদালতে সবই প্রমাণ হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Child Trafficking, Crime CWC BJP Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE