প্রতীকী ছবি।
ফের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়লেন কোচবিহারের কৃষকরা। শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ মিনিট পনেরো শিলাবৃষ্টি হয়। ওই শিলাবৃষ্টিতে পাট ও বোরো ধানের ফলনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কৃষি দফতর সূত্রের খবর, এ দিন তিনশো হেক্টর জমির পাট গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৫০ হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। ৩০ হেক্টর জমির আনাজ এবং ২০ হেক্টর জমির ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। সবমিলিয়ে এ দিন শুধু কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকে ৬৬ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। অবস্থা খতিয়ে দেখতে কৃষি আধিকারিকরা বিভিন্ন গ্রামে গিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, গত পনেরো দিনে কয়েক দফায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে গোটা জেলায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে এখনও পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যায়নি বলে কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। কোচবিহার জেলা কৃষি আধিকারিক মিজানুর আহসান বলেন, “কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পনেরো দিনে কোচবিহারের মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা, তুফানগঞ্জের একাধিক জায়গায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, এখন পাট গাছ বেশ খানিকটা বড় হয়েছে।
শিলাবৃষ্টির জেরে পাট গাছের মাথা ভেঙে গিয়েছে। ওই গাছ আর বড় হবে না। দিনহাটার ব্রহ্মানির চৌকি এলাকার কৃষক ভবানীকান্ত বর্মন জানান, তিনি ছ’বিঘা জমিতে এ বারে পাট চাষ করেছিলেন। সেই পাটের পুরোটাই শিলাবৃষ্টির জেরে নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি দুই বিঘা জমিতে বোরোধান চাষ করেছিলেন। সেই ধানের অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ব্রহ্মানির চৌকির পাশাপাশি হাড়িভাঙা, ফলিমারি, চিলকিরহাট, পাটছড়া, দেউরহাট, পুটিমারি-ফুলেশ্বরী এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের কৃষি আধিকারিক রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ক্ষতির হিসেব করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখন পাট গাছের বয়স এক মাস থেকে পঞ্চাশ দিনের মধ্যে। এই অবস্থায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি বেশি হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy