অজন্তা বিশ্বাস ও সূর্যকান্ত মিশ্র। —ফাইল চিত্র।
অজন্তা বিশ্বাসের নাম শুনে চিনতেই পারলেন না সূর্যকান্ত মিশ্র। দক্ষিণ দিনাজপুরে অজন্তাকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। সে সময় উল্টে অজন্তার পরিচয় জানতে চেয়ে বার বার সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। পরে অবশ্য তাঁর পাশে বসে থাকা নেতারা অজন্তার পিতৃপরিচয় অর্থাৎ সিপিএমের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের প্রসঙ্গ তুলতে তাঁকে চিনতে পারেন বর্তমান রাজ্য সম্পাদক।
সোমবার গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাটে একাধিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন সূর্যকান্ত। বালুরঘাটে সাংবাদিকরা তাঁকে অজন্তার শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন করেন। সূর্যকান্ত পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘কাকে শো-কজ করা হয়েছে?’’ অজন্তার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় লেখার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করেন সাংবাদিকরা। ফের সূর্যকান্ত পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘বুঝতে পারলাম না। কাকে শো-কজ করা হয়েছে?’’ সাংবাদিকরা ফের অজন্তা বিশ্বাসের নাম বলেন। এমনকি তাঁর ‘জাগো বাংলা’য় লেখার প্রসঙ্গও তোলেন। তখন সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘সেটা কে?’’ সূর্যকান্তের পাশে বসে থাকা এক দলীয় নেতা তাঁকে বলেন, ‘‘অনিলদার মেয়ে।’’ তখন অজন্তাকে চিনতে পারেন সূর্যকান্ত। বলেন, ‘‘ওহ! অজন্তা।’’ অজন্তাকে সাসপেন্ড করার ব্যাখ্যা দিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘পার্টির বিরোধী কিছু কথা লিখলে পার্টির সদস্য বলেই তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে। উনি কিছু কথা বলেছেন যেটা পার্টির বিরুদ্ধে গিয়েছে। উনি যে পার্টি ইউনিটের সদস্য সেই ইউনিট তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কলকাতা জেলা কমিটি তা অনুমোদন করেছে।’’
গত ২৮ থেকে ৩১ জুলাই তৃণমূলের মুখপত্রে ধারাবাহিক উত্তর সম্পাদকীয় লেখেন অজন্তা। যার জেরে শোরগোল পড়ে যায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অন্দরে। জল গড়ায় অনেক দূর। এ নিয়ে তখনই সূর্যকান্ত বলেছিলেন, তৃণমূলের মুখপত্রে এক জন পার্টি সদস্যের লেখা খারাপ কাজ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অজন্তাকে ছ’মাস সাসপেন্ড করে সিপিএম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy