Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Banarhata CPIM

বানারহাটের ১৮টি বুথে ভোট শতাংশ কম কেন, ভাবনা

দল সূত্রের দাবি, বানারহাট নিয়ে কিছুটা ‘চিন্তায়’ রয়েছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। বুথে ভোট কম পড়ায় তাঁদের ‘উদ্বেগ’ বেড়েছে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৬
Share: Save:

আঠারোটি বুথে ভোট পড়েছে গড়ের থেকে অনেকটাই কম। এই আঠারোটি বুথই রযেছে নাবারহাট এলাকায়। এর মধ্যে কয়েকটি চা বলয়ের বুথও রয়েছে। ওই বুথগুলির ভোটের হারই জয়-পরাজয়ের পথ ঠিক করে দেবে কি না, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নেতা-নেত্রীদের মনে। কারণ, আঠারোটি বুথই বানারহাটের, যে বানারহাটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে শাসক-বিরোধী দলগুলি।

বানারহাটের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে চা বলয়। বাকি এলাকায় হিন্দি এবং নেপালি ভাষাভাষির বাসিন্দাদের সংখ্যাও বেশি। এক সময়ে ‘বামেদের দুর্গ’ বলে পরিচিত বানারহাটে গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে দেদার পদ্ম ফুটেছে। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-বামকে পর্যদুস্ত করে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জিততে বিজেপি মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে বানারহাটে তাদের ভোট ফিরিয়ে আনতে। তৃণমূল চেষ্টা করেছে পঞ্চায়েতে পাওয়া ভোট ধরে রাখতে। বামেরা ঝাঁপিয়েছিল মাটি ফিরে পেতে।

মঙ্গলবার ভোট শেষের পরে, বুধবার ভোট শতাংশের হিসেব কষা হয়েছে প্রার্থীদের ডেকে। জলপাইগুড়িতে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, “আঠারোটি বুথে সকাল থেকেই ভোট কম পড়েছে। সকাল থেকে ভোট কম পড়তে দেখে পর্যবেক্ষকেরাও গিয়েছিলেন। তাতে চা বাগানের বুথ যেমন রয়েছে, তেমনই বাজার এলাকার বুথও রয়েছে। তবে ফলে প্রভাব পড়বে না। কারণ, দলের কর্মীরা খেটেছেন।” সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়ের অবশ্য দাবি, “কোনও এলাকায় ভোট কম পড়তে পারে। তবে আমাদের ফল খুবই ভাল হবে।”

দল সূত্রের দাবি, বানারহাট নিয়ে কিছুটা ‘চিন্তায়’ রয়েছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। বুথে ভোট কম পড়ায় তাঁদের ‘উদ্বেগ’ বেড়েছে। যদিও বিজেপির তরফে কোনও সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হয়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ভোট ভাল হয়েছে বলে দাবি করেছেন। উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায় বলেন, ‘‘বানারহাট, চা বলয় আমি ঘুরেছি। সর্বত্র প্রচুর সাড়া পেয়েছি। আমাদের জয় হবে, মানুষই বলছেন।’’

ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে মোট ভোট শতাংশ ৭৮.১৯, যা গত বিধানসভা এবং লোকসভা থেকে কম হলেও উপনির্বাচনের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। উপনির্বাচন হলে বাইরে থাকা বাসিন্দারা ভোট দিতে আসেন না। ভোটের নিজস্ব ছন্দ-হাওয়া অনেকটাই ‘স্তিমিত’ হওয়ায় ভোটও কম পড়ে। তার পরেও ৮০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট হওয়ায় বাড়তি ভোট কাদের সুবিধা দেবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy