প্রতীকী ছবি
বাড়িতে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় এক তরুণী ও তরুণ আত্মঘাতী হলেন বলে মনে করছে পুলিশ।
মালদহের গাজল থানার চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কদুবাড়ি গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই তরুণ ও তরুণী একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তরুণ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। আর মেয়েটি এ বারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রাম জুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণের বাবা দীর্ঘ দিন আগেই মারা গিয়েছেন। তিন ভাইদের মধ্যে ওই তরুণই ছোট। তাঁদের একটি বাড়ির পাশেই রয়েছে মেয়েটির বাড়ি। মেয়েটির বাবা পেশায় কৃষক। তাঁর দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে ওই তরুণী বড়ো। স্থানীয় একটি হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল। বছর দু’য়েক ধরে ওই তরুণের সঙ্গে তার সর্ম্পক ছিল। স্থানীয় সূত্রে এও জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে তারা দু’জন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে বিয়েতে আপত্তি ছিল পরিবারের।
ঘটনায় গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। ওই দিনই দু’জনকে আলাদা করে দেওয়া হয়। সপ্তাহ খানেক আগে আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তরুণী। এই নিয়ে পরিবারের লোকেরা থানাতে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। এর পরপরই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে যায়। তারপরে এ দিন সকালে বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার দূরে মাঠের মধ্যে জাম গাছের মধ্যে দু’জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকটি গামছা এবং মেয়েটি ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগায়। গাছের এক ডালেই দু’জনে ফাঁস লাগায়।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘বলেছিলাম আগে পড়া শেষ করতে। তারপরে বিয়ের কথা ভাবব। তাই বলে এমন করবে ভাবতেই পারেনি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য ছেলেটির পরিবারই দায়ী।’’ ওই তরুণের দাদারা অবশ্য বলেন, ‘‘মেয়ের বাড়ির লোকে মেনে নিলে এমনটি হত না।’’
ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তৃণমূলের দিপালী সরকার বলেন, ‘‘শুনেছি, তাঁদের ভালোবাসা মেনে না নেওয়ায় এমন কাজ করেছে। পুলিশকে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ঘটনার সমস্ত দিকই দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy