জখম খগেন ও পাপিয়া মুশহর। ছবি: বাপি মজুমদার।
বিয়েবাড়িতে সারারাত ধরে তারস্বরে ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করায় এক প্রৌঢ় দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মালদহের রতুয়ার পূর্ব কমলপুর এলাকায় বুধবার সকালে ওই ঘটনার পর আহত দম্পতিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও স্বামীর ডান হাতের আঘাত গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এ দিন সন্ধেয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। প্রহৃত দম্পতির সঙ্গে অভিযুক্তদের পুরনো বিবাদ রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। তার জেরেই ওই ঘটনা কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মঙ্গলবার রাতে রঘু মুশহর নামে এক বাসিন্দার মেয়ের বিয়ে ছিল। রাত ১০টায় বরযাত্রীরা পৌঁছানোর পর থেকেই তারা তারস্বরে ডিজে বাজাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে রাতে বরযাত্রীদের একাংশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের একাংশের তুমুল বচসা বাঁধে। তার পরে অবশ্য বচসা মিটে গিয়ে বিয়ে হয়েও যায়। কিন্তু বরযাত্রীরা ফিরে যাওয়ার পরে রঘুবাবুর বাড়িতে ফের তারস্বরে ডিজে বাজতে থাকে বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানান প্রতিবেশী পাপিয়া মুশহর। এই সময় রঘুর এক আত্মীয় সাইরু পাপিয়াদেবীকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। স্ত্রীকে বাঁচাতে স্বামী খগেন মুশহর ছুটে গেলে তিনিও আক্রান্ত হন। তাঁকে হাঁসুয়ার কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরাই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ পৌঁছনোর আগে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান মনসুর আলি বলেন, ‘‘সাইরুর সঙ্গে খগেন মুশহরের দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে বলে জানি। তবে সকালে কি ঘটেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’
পাপিয়াদেবী বলেন, ‘‘সকালেও প্রচন্ড জোরে ডিজে বাজতে থাকায় তা বন্ধ করতে বলি। উল্টে ওরা আমাকে মারতে থাকে। স্বামী বাধা দেওয়ায় তাকেও হাঁসুয়া গিয়ে আঘাত করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy