ত্রাতা: সঙ্কট কাটাতে ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তদান। মালদহে। নিজস্ব চিত্র
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে ‘বাড়ন্ত’ রক্ত। লকডাউনের জেরে বন্ধ রক্তদান শিবির। তার প্রভাব পড়েছে ব্লাডব্যাঙ্কে। এমন পরিস্থিতিতে রক্তের সঙ্কট মেটাতে এগিয়ে এলেন একদল তরুণ-তরুণী। শনিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দিলেন তাঁরা। তাঁদের মতোই সাধারণ মানুষকে রক্ত দিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
ব্লাডব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় দিনে প্রায় ৭০ ইউনিটের মতো রক্তের প্রয়োজন হয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের উপরে নির্ভরশীল ইংরেজবাজার শহরের ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল, একটি মহকুমা এবং ১৫টি গ্রামীণ হাসপাতাল।
ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, লকডাউন চলায় রক্তদান শিবির হচ্ছে না। যার প্রভাব পড়েছে ব্লাডব্যাঙ্কে। তবে বড় শিবির না করে দু’এক জন করে রক্ত দিতে এগিয়ে এলে সঙ্কট অনেকটাই মেটানো যাবে।
এ দিন ১৫ জন তরুণ-তরুণী পৃথক পৃথক ভাবে ব্লাডব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দেন। ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা সুমনা পাল বলেন, ‘‘লকডাউনে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া উচিত নয়। তবে ভিড় না করে এক, দু’জন করে এ ভাবে এগিয়ে এলে রক্তসঙ্কট অনেকটাই মিটবে।’’ কালিয়াচকের আলমগীর খান বলেন, ‘‘সোশ্যাল মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৫ জন রক্ত দিয়েছি।’’
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘ওই পড়ুয়াদের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। রক্তসঙ্কট মেটাতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy