দু’লক্ষ টাকা জমা নেওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, রোগী মারা গিয়েছেন। —প্রতীকী চিত্র।
জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য দু’লক্ষ টাকা জমা নেওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, রোগী মারা গিয়েছেন। আরও অভিযোগ, মৃত্যুসংবাদ দেওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে দেহটি পুলিশি পাহারায় ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরজ শর্মা (৩৬) নামে ওই যুবক থাকতেন ব্যাঁটরার বৈরাগীপাড়ায়। তাঁর স্ত্রী ও তিন বছরের মেয়ে রয়েছে। গত শনিবার একটি লরির ধাক্কায় ঊরুতে চোট পান সুরজ। তাঁর ভাই সঞ্জয় কুমার মঙ্গলবার জানান, শনিবার রাতেই সুরজকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সুরজের পায়ে একটি অস্ত্রোপচার হয়। প্রথমে তাঁকে আইসিইউ-তে রাখলেও পরে সাধারণ শয্যায় স্থানান্তরিত করা হয়। সঞ্জয় বলেন, ‘‘এ দিন ফোন করে জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যেতে বলা হয়। গিয়ে দেখি, সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। টাকা দেওয়ার ঠিক ১০ মিনিট পরে জানানো হয়, সুরজ মারা গিয়েছে।’’
এর পরে সুরজের পরিজনেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে তাঁদের তিন জনকে প্রায় চার ঘণ্টা থানায় আটকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত্যুর চার ঘণ্টা পেরোলে তবেই দেহ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এক ঘণ্টার মধ্যেই সুরজের দেহ পুলিশ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (নর্থ) বিশপ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিলেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
হাসপাতালের এক আধিকারিক মহুয়া গোলদার বলেন, ‘‘টাকা জমা নিয়ে মৃত্যুর খবর দেওয়া বা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মিথ্যা। ওই যুবকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার ফের একটি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। তাই পরিবারকে খবর দেওয়া হয় ও আগে কত টাকা দেওয়া ছিল, জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অবস্থার অবনতি হয়ে হঠাৎই রোগী মারা যান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy