Advertisement
২২ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

সংগ্রহ হচ্ছে শ্রমিক তথ্য

বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা কে কোথায় আছেন, সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এঁদের যতটা সম্ভব ‘সারভিলেন্স সিস্টেম’-এ নিয়ে আসার।

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২০ ০১:০০
Share: Save:

করোনা প্রতিরোধে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, উত্তরবঙ্গে এসে সে কথাই শোনালেন রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় গঠিত টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, শুনলেন সৌমিত্র কুণ্ডু।

প্রশ্ন: বাইরে তথা ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বিরাট সংখ্যক শ্রমিক উত্তরবঙ্গে ফিরে এসেছেন। করোনা মোকাবিলায় তাঁদের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রাজ্য সরকার কী ভাবছে?

উত্তর: বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা কে কোথায় আছেন, সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এঁদের যতটা সম্ভব ‘সারভিলেন্স সিস্টেম’-এ নিয়ে আসার। জেলাভিত্তিক খবর নেওয়া হচ্ছে। যেখানে বেশি সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, সেগুলিকে চিহ্নিত করে তাঁদের ঘরবন্দি করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। কোয়রান্টিন বা হোম কোয়রান্টিনে তাঁদের থাকার কথা। এটা সামগ্রিক সিদ্ধান্ত।

প্রশ্ন: মালদহের কালিয়াচক বা উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে কী ভাবে এই কাজ করা হচ্ছে, যদি বলেন?

উত্তর: এই বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক কে কোথায় রয়েছেন, সে তথ্য সংগ্রহে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের তরফে একটি ‘অ্যাপ’ তৈরি হয়েছে। আশা কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে দিচ্ছেন সেই অ্যাপের মাধ্যমে। তাতে কোথায় কী পরিস্থিতি সেটা স্পষ্ট হবে।

প্রশ্ন: আশা কর্মীরা সেই কাজ কবে শুরু করবেন?

উত্তর: ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

প্রশ্ন: তথ্য মেলার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?

উত্তর: অ্যাপের মাধ্যমে আশা কর্মীরা যত তথ্য জানাবেন, ততই কোন কোন এলাকা গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে, সে-ই চিত্র উঠে আসবে। সেই মতো সেই এলাকাগুলিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে বেশি করে নমুনা পরীক্ষা করা হবে। র‌্যাপিড কিট এলে সেই কাজ শুরু করা যাবে। সেই কিট হয়তো খুব তাড়াতাড়ি চলেও আসবে। র‌্যাপিড কিট পরীক্ষায় পজ়িটিভ হওয়া মানেই এই নয় যে, করোনা সংক্রমণ রয়েছে। তবে সেটাকে সম্ভাব্য সংক্রমণ ধরে নিয়ে এই ব্যাপারে পরবর্তী পরীক্ষা করাতে হবে। তাঁদের আলাদা করে কোয়রান্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সামাজিক দূরত্বটা বজায় রাখতেই হবে।

প্রশ্ন: এই সব ক্ষেত্রে নজরদারি কী ভাবে হবে?

উত্তর: অ্যাপের তথ্য ধরেই আশা কর্মীরা তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবেন। নজরদারি করবেন।

প্রশ্ন: শিলিগুড়িতে ডক্টর চ্যাংস সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় অংশ কাজ করতে চাইছেন না। সেখানে কী তা হলে মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসক, নার্সদের পাঠাতে হবে?

উত্তর: ওই নার্সিংহোমের নিজস্ব ডাক্তার রয়েছে। তাঁদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন ছিল। তাঁদের সমস্যাটা বুঝে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাঁদের নিয়ে বসে কথা বলেছি। সমস্যা আর হবে না বলেই মনে হয়।

প্রশ্ন: শিলিগুড়ির এই করোনা হাসপাতাল উত্তরবঙ্গের জন্য কাজ করবে বলছেন। সেটা কি জেলা জেলায় করোনা হাসপাতাল প্রস্তুত না-হওয়া পর্যন্ত?

উত্তর: হ্যাঁ, ঠিক তাই। জেলায় জেলায় পরিকাঠামো প্রস্তুত হয়ে গেলে আর এখানে রোগী পাঠানোর দরকার হবে না। অন্যান্য জেলা থেকে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসার প্রয়োজন এখনও হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy