অবস্থানে সুকান্ত। নিজস্ব চিত্র
‘হোম কোয়রান্টিন’ ভেঙে বেরনোর অভিযোগে ফের বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে রাস্তায় ‘আটকে’ দিল পুলিশ। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার রামপুরের ঘটনা। প্রতিবাদে রামপুর এলাকায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে পড়েন সুকান্ত। ২৩ এপ্রিল হিলি সীমান্তে যেতে গেলে বালুরঘাটের মঙ্গলপুরে সুকান্তকে একই ভাবে পুলিশ আটকে দেয় বলে দাবি। প্রতিবাদে সেখানে বিজেপি সাংসদ ৫ ঘণ্টা ধরে অবস্থানে বসেন। সে দিনই মহকুমাশাসক তাঁকে চিঠি দিয়ে ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকতে বলেন।
এ দিন রামপুরে সাংসদকে রাস্তায় বসে পড়তে দেখে ভিড় জমে। সেখানে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। এর পরে সাংসদকে পুলিশ-প্রহরায় বালুরঘাট শহরের বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ির সামনে বসে যায় পুলিশ পিকেটও।
এক জন সাংসদকে পুলিশ বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হন বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মণ। তিনি দাবি করেন, সাংসদ আগেই ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিনে’ ছিলেন। তার পরেও মিথ্যা অভিযোগ তুলে পুলিশ-প্রশাসন তাঁকে জোর করে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
ডেপুটি পুলিশ সুপার ধীমান মিত্র জানান, প্রশাসনের নির্দেশ লঙ্ঘন করে সাংসদ ‘হোম কোয়রান্টিন’ না মেনে বাইরে বের হয়েছিলেন। তাঁকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
এ দিন সকালে দেহরক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে ওই বিজেপি সাংসদ বালুরঘাট থেকে গঙ্গারামপুরের ঠ্যাঙ্গাপাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের খাদ্যসামগ্রী বিলি করেন। ফিরে আসার সময় বেলা ১১টা নাগাদ তপনের রামপুর বাসস্টপের রাস্তায় তাঁকে আটকানো হয়। সুকান্তর অভিযোগ, ‘‘মিথ্যা রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে। যা আগেই পালন করেছি। অথচ তৃণমূল নেতারা কলকাতা থেকে বালুরঘাটে ফিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’’
তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে সুকান্ত অন্য জায়গায় যেতেই পারেন।’’ তিনিও অনুমতি নিয়েই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ত্রাণ বিলি করছেন বলে অর্পিতা দাবি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy