—প্রতীকী ছবি।
আগামী অর্থবর্ষে (পড়ুন ২০২৫-’২৬) কতটা বৃদ্ধি পাবে অর্থনীতির সূচক? নতুন বছরের গোড়াতেই তার পূর্বাভাস দিল আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড বা আইএমএফ)। সংস্থাটির জারি করা রিপোর্টে প্রত্যাশার চেয়ে আর্থিক বৃদ্ধির হার অনেক বেশি শ্লথ থেকেছে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের গলায়।
সম্প্রতি ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইএমএফ। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে আটকে থাকবে। গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) অক্টোবর মাসে সম্ভাব্য বৃদ্ধির সূচক নিয়ে ঠিক এই অনুমানই করেছিল সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা। অন্য দিকে এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা অর্থবর্ষ থেকে টানা দু’বছর বৃদ্ধির হার ৬.৭ শতাংশ হবে বলে দাবি করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
আইএমএফের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এ দেশে শিল্পে লগ্নির পরিমাণ কমেছে। এর ফলে প্রত্যাশার চেয়ে হ্রাস পেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার। ২০২৩ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ। গত বছর (পড়ুন ২০২৪) সেখান থেকে সূচক ৬.৫ শতাংশে নেমে যায়। আগামী দু’বছর সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করেছে আইএমএফ।
অন্য দিকে শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ওই রিপোর্টে বৃদ্ধির হারকে ঊর্ধ্বমুখী করতে ঘরোয়া বাজারে চাহিদা এবং লগ্নি বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আরবিআই জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশে নেমে যায়। এর জন্য অতিবৃষ্টি, বেসরকারি লগ্নিতে ভাঁটা এবং মন্থর সরকারি খরচকে দায়ী করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
আইএমএফের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হারও যথেষ্ট শ্লথ হবে। সংস্থাটির অনুমান এই দু’বছর দুনিয়ার বৃদ্ধির সূচক ৩.৩ শতাংশ থাকবে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস বলেছেন, ‘‘এ বছর বিশ্ব জুড়ে মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাস পেয়ে ৪.২ শতাংশে নেমে আসবে। ২০২৬ সালে এটি আরও কম দাঁড়াবে ৩.৫ শতাংশে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy