অসচেতন: রবিবার উপচে পড়া ভিড় শিলিগুড়ি রেলগেট বাজারে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
ভিড় দেখলে বোঝার উপায় নেই যে সাধারণ দিনের রবিবারের বাজার নাকি লকডাউনের রবিবার। রবিবার শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি বাজারেই গিজগিজ করেছে ভিড়। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশ শিথিলতা দেখাতেই এমন ভিড় হয়েছে। টিকিয়াপাড়া, ঘোঘোমালি, হায়দারপাড়া বাজারে সাধারণ ছুটির দিনের থেকেও বেশি ভিড় ছিল এ দিন। বেশিরভাগ বাজারেই পুলিশের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। লকডাউনে বিধিভঙ্গের অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় গ্রেফতারের সংখ্যা তলানিতে নেমেছে। রবিবার শহরের বেশিরভাগ বাজারে ভীষণ ভিড় থাকলেও গ্রেফতারের সংখ্যা সারাদিনে তুলনামূলকভাবে বাড়েনি।
আরও ১৫ দিন বেড়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হয়েছে লকডাউন। প্রশাসনের তরফে বারবার রাস্তাঘাটে ভিড় না করতে আবেদন জানানো হচ্ছে। কিন্তু সেই আবেদনে যে শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ তোয়াক্কা করছেন না তা দেখা গেল রবিবারই। রবিবারের দেদার কেনাকাটা হয়েছে শালুগাড়া, মাটিগাড়া এবং বাগডোগরা বাজারে। ভিড় ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বাজারের ভিড়ের পাশাপাশি ফুলেশ্বরী মোড়, গেটবাজার, শক্তিগড় এবং চম্পাসারি এলাকাতেও ক্লাবগুলির সামনে আড্ডা জমে উঠেছিল বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ উঠেছে টহলদারি কমানোর। মাটিগাড়া এবং বাগডোগরা থানা ছাড়া শহরের প্রধাননগর, ভক্তিনগর, শিলিগুড়ি এবং এনজেপি থানায় শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত লকডাউনের বিধি ভাঙার অভিযোগে কোনও গ্রেফতার হয়নি বলেই জানাচ্ছে পুলিশ। এর আগে শিলিগুড়িতে লকডাউন উপেক্ষার জন্য গ্রেফতার শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তা কমে এসেছে একেবারে তলানিতে।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এর এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ থাকলে বা বাইরে বেরোনোর কারণ না দেখতে পারলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। শনিবারও পাঁচজনকে হায়দারপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
শনিবার হায়দারপাড়া বাজার থেকে পাঁচজন গ্রেফতার হওয়ার পরে রবিবার ভিড় একটু নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে ভাবা গিয়েছিল। কিন্তু উল্টো ছবি দেখা গেল বাজারের অলিগলিতে। এ দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় আরও বেশি মানুষ বাজারমুখী হয়েছিলেন। একই ছবি দেখা গিয়েছে সুভাষপল্লি-রবীন্দ্রনগর বাজারেও। অন্যান্য পেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে বাজারগুলিতে মাছ এবং মুরগির মাংসের বিক্রেতাও বেড়ে গিয়েছে। এ দিন বাজারগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচার কোনও ছবিই দেখা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy