Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus Lockdown

খুলছে পাহাড়ের হোটেল

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে, সোমবার থেকে শুরু হল আনলক-১

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি ও মালবাজার শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ০৮:২৪
Share: Save:

রোজ করোনা আক্রান্ত বাড়ছে পাহাড়ে। তবু মঙ্গলবার থেকে পাহাড়ের ছোট-বড় শতাধিক হোটেল খুলে যাচ্ছে। সোমবার দুপুরে লালকুঠিতে জিটিএ-র সদর দফতরে এই নিয়ে বৈঠক হয়। স্পষ্টতই টানাপড়েন ছিল করোনা সংক্রমণ ও দীর্ঘ লোকসানের মধ্যে। বৈঠকে হাজির অনেকেই স্বীকার করেন, করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, কিন্তু হোটেল না খুললে বেকারত্ব ভয়াবহ আকার নিতে পারে। বৈঠকে জিটিএ, প্রশাসন, পুলিশ ও হোটেল মালিক-কর্মীরা অংশ নেন। বৈঠক শেষে হোটেল খোলার পক্ষেই মত দেওয়া হয়। পাহাড়ের উল্টো ছবি ডুয়ার্সে। বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ডুয়ার্সের পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হোটেল খোলা থেকে পিছিয়ে এল। সেই অঞ্চলের মালিক থেকে কর্মী— সকলের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হল।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে, সোমবার থেকে শুরু হল আনলক-১। বলা হয়েছিল, ৮ জুন থেকে সমস্ত ধরনের বিধি মেনে হোটেল, রিসর্ট, রেস্তরাঁ খোলা যাবে। কিন্তু গত সপ্তাহেই পাহাড়ের হোটেল শিল্পের অবস্থা নিয়ে নানা বক্তব্য সামনে আসে। লকডাউনের ফলে দু’মাস বন্ধের জেরে বিরাট লোকসান হয়েছে, দাবি হোটেলগুলির। ফলে ৩৫০টির মতো ছোটবড় হোটেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও শোনা যায়। এতে ১০ হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যা শুনে জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা বৈঠকের ডাক দেন।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৈঠকের মঙ্গলবার থেকে সব হোটেল, লজ খুলে রাখা সিদ্ধান্ত ছাড়াও একটি কমিটি গঠন হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাতে হোটেল মালিক, কর্মী ইউনিয়নগুলি, জিটিএ, শ্রম দফতর, পুলিশ, প্রশাসনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। মালিকদের লোকসানের কথা ভেবে কর্মীদের বেতন কাঠামো কী হবে, তা নিয়ে কমিটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। হোটেলকে সানিটাইজ় করতে বলা হয়। কেউ সিদ্ধান্ত মোতাবেক না চললে জিটিএ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে। অনীত বলেন, ‘‘কমিটি বসে কর্মীদের বেতনের সিদ্ধান্ত নেবে।’’ দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিনোদ খন্না জানান, ‘‘বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে হোটেল, লজ খোলার ব্যবস্থা করছি।’’

এই পরিস্থিতিতে হোটেল, রিসর্ট আপাতত খুলছে না ডুয়ার্সে। রবিবার প্রথমে মালবাজার পুরসভা, পরে চালসা ও সোমবার থেকে ওদলাবাড়ি ও লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত নিজ নিজ এলাকায় ব্যবসা, দোকানবাজার বন্ধের ডাক দেয়। কেউই এদিন আর বন্ধ রিসর্টের তালা খোলেননি। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দিব্যেন্দু দেব বলেন, “স্থানীয় স্তর থেকে হোটেল, রিসর্ট বন্ধের নির্দেশ আছে, তাই আমরা এখনোও সবকিছু বন্ধই রেখেছি।” তবে বর্ষায় জঙ্গল বন্ধ থাকায় ডুয়ার্সে পর্যটক কম আসেন, তাই তাদের বন্ধ রাখতে অসুবিধা নেই মনে করছেন পাহাড়ের হোটেলমালিকরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Tourism Hotels
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy