Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

ভয় ভুলে ভিড় রাস্তায়

পুলিশ দেখে কোথাও কানধরে ওঠবস,  কোথাও দোকান ফেলেই পালালেন ব্যবসায়ী।

বেহুঁশ: জেলায় করোনা পজ়িটিভ মেলার পরেও গিজগিজে ভিড় বালুরঘাটের বাজারে। নিজস্ব চিত্র

বেহুঁশ: জেলায় করোনা পজ়িটিভ মেলার পরেও গিজগিজে ভিড় বালুরঘাটের বাজারে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার ও বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২০ ০২:৪৮
Share: Save:

কোথাও দোকানের শাটার খুলে চলছে নির্মাণ সামগ্রী কেনাবেচা। কোথাও খোলা জামাকাপড়, জুতোর দোকান। রাস্তায় দেদার ভুটভুটি, টোটো, ই-রিকশা। লকডাউনেও যেন স্বাভাবিক ছন্দে মালদহের প্রাণকেন্দ্র ইংরেজবাজার শহর। পরিস্থিতি সামলাতে রবিবার ছুটির দিনে রাস্তায় নামল পুলিশ।

পুলিশ দেখে কোথাও কানধরে ওঠবস, কোথাও দোকান ফেলেই পালালেন ব্যবসায়ী। লকডাউন বিধি ভাঙার দায়ে শহরেই ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হল। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘লাগাতার প্রচার করা হচ্ছে। তার পরেও জেলাবাসীর একাংশ সচেতন হচ্ছেন না।’’ তিনি জানান, এ দিন শহর ছাড়াও জেলা জুড়ে নজরদারি চালানো হয়েছে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে।

মানিকচক, কালিয়াচক, হরিশ্চন্দ্রপুর, হবিবপুর, পুরাতন মালদহের মতো জেলার করোনা মানচিত্রে রয়েছে শহর সংলগ্ন ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুরও। অভিযোগ, তবুও সচেতনতার ছবি দেখা যাচ্ছে না শহরের রাস্তা-ঘাটে। সামাজিক দূরত্বের বিধি ভেঙে ভিড় আরও বাড়ছে। চলছে আড্ডা। রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টোটো, ই-রিকশা, ভুটভুটি, মোটরবাইক।

এ দিন সকাল থেকেই শহরের বাজারে বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। মুদি, আনাজের দোকানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বার্তা দেওয়া হয়। অন্য সামগ্রীর দোকান খুলে কেনাবেচা চলায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে খুশি শহরবাসীর একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলতেই হবে। অনেকে তা মানছেন না। তাই তৎপর হতে হবে পুলিশকেই।

ছবিটা এক ছিল দক্ষিণ দিনাজপুরেও। শনিবারই জেলার কুশমণ্ডিতে তিন করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই, রবিবার জেলা সদর বালুরঘাটে বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন হেলদোল দেখা গেল গেল না। অভিযোগ, এ দিনও সকাল থেকে হাইস্কুলের মাঠের আনাজ ও মাছ মাংসের বাজারে ভিড় জমে। অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার মুখেই মাস্ক ছিল না। ছিল না পুলিশের কোনও নজরদারি। অভিযোগ, নিউমার্কেট থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দোকান-বাজার ছিল খোলা। রাস্তায় ছিল মোটরবাইক, অটোরিকশা, টোটোর ভিড়।

এ নিয়ে বার বার ফোন করা হলেও জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্হ্য দফতরের কোনও আধিকারিক তা ধরেননি। অভিযোগ, শহরের রাস্তায় সিভিক ছাড়া পুলিশের দেখা মেলেনি। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘ভিন্‌ রাজ্য থেকে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকেরা জেলায় ফিরছেন। করোনা সংক্রমণ হতেই পারে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রশাসনকে তথ্য গোপন না করতে বলা হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy