Advertisement
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

ওরা ঘুরছে কেন, ক্ষুব্ধ কাউন্সিলর

অভিযোগ উঠেছে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পুলিশকে না জানিয়েই রাজস্থানের কোটা থেকে আসা বাসচালকদের দু’দিনের জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৭:৪৮
Share: Save:

কোটায় আটকে পড়া উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের ফেরত দিতে একাধিক বাস এসেছিল শনিবার ভোরবেলা পর্যন্ত। সেই বাসগুলির চালকদের কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে রাখার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, রবিবার সকালে ওই চালকেরা সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করেই স্টেডিয়ামের অস্থায়ী বাজারে ঘুরে ফল কিনছিলেন। তা নিয়ে ব্যাপক ঝামেলা শুরু হয়। বাইরে থেকে আসা ওই চালকরা কেন ভিড়ে এসেছেন সেই প্রশ্ন ওঠায় বাজার বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটে গেলেও তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর নান্টু পাল দাবি করেন, বাইরে থেকে আসা কাউকে স্টেডিয়ামে রাখতে গেলে সেখানে বাজার রাখা যাবে না।

অভিযোগ উঠেছে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পুলিশকে না জানিয়েই রাজস্থানের কোটা থেকে আসা বাসচালকদের দু’দিনের জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে। কাউন্সিলরের দাবি, গত ১০-১২ দিন থেকে ক্ষুদিরামপল্লি, বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট এবং বিধান রোড মিলিয়ে ৩০০ ফল ও আনাজ ব্যবসায়ীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্টেডিয়ামে বসানো হয়। তারপর থেকে আর কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু রবিবার ঝামেলা বাধে কোটার চালকদের বাইরে বেরিয়ে বাজারের মধ্যে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে। স্টেডিয়ামের মেলার মাঠে পসার নিয়ে বসা এক আনাজ বিক্রেতা সৌমেন সাহা বলেন, ‘‘৫-৭ জন অনেকক্ষণ থেকে বাজারে ঘুরছিলেন। হিন্দিতে কথা বলছিল। তখনই আমাদের সন্দেহ হয়, এরা হয়তো কোটা থেকে আসা চালক।’’ নান্টু পাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। ক্রীড়া পরিষদেরও কার্যকরি সভাপতি। সেসব বাদ দিলেও স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে চালকদের রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাকে এবং পুলিশকে জানালে চালকদের গতিবিধি খানিকটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যেত। অযথা আতঙ্ক ছড়িয়ে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো না।’’ তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের কাছেও এ ব্যাপারে কোনও কথা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি। বাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চালকরা যে কেবল বাজারে ঘুরে বেরিয়েছেন তাই নয়, তাঁরা ফলও কিনেছে। একটি চায়ের দোকানেও তাঁদের কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ কিছু ব্যবসায়ীর। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাজারের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। ঝামেলা শুরু হলে বাজার বন্ধ হয়ে যায়। পরে কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। তারপরে চালু হয় বাজার। কোটা থেকে বাস নিয়ে অনেক রাতে শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে ফেরার পরে কিছু চালকের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সেই অভিযোগ মানছেন না দার্জিলিং জেলা প্রশাসন কর্তারা। তাঁদের দাবি, মাত্র কয়েকজনকে স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছিল। অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল বলে তা জানানো যায়নি। শনিবার ভোরবেলা পর্যন্ত এসেছে গাড়ি। ফলে শনিবার সারাদিন সেই বিষয়টি কেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পুলিশকে জানানো হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘চালকদের থার্মাল স্ক্রিনিং হয়েছে। খাবার-দাবার এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস দেওয়া হয়েছে। তাঁরা রবিবার ভোরবেলা বেরিয়েও গিয়েছেন।’’ যদিও স্থানীয় সূত্রে দাবি বেশিরভাগ চালক বেরিয়ে গেলেও কয়েকজন রবিবার স্টেডিয়াম বাজারে গিয়েছিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy