Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

দিল্লির মতো পরীক্ষা বাড়ুক, চান বাসিন্দারা

জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, এখন গড়ে প্রায় এক হাজার জনের লালারস পরীক্ষা  হচ্ছে। তিনি বলেন, “সমস্তরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।”

অসচেতন: রাস্তা জুড়ে ভিড়। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

অসচেতন: রাস্তা জুড়ে ভিড়। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২০ ০৫:০৮
Share: Save:

পরীক্ষা কিছুটা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবারই কোচবিহারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন। তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তাঁদের পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। প্রশাসন সেই কাজ করলেও অভিযোগ উঠেছে, তা পর্যাপ্ত নয়। বলা হচ্ছে, দিল্লির পথ ধরে এগোতে চাইলে আরও বেশি করে পরীক্ষার প্রয়োজন। করোনায় আক্রান্তদের খুঁজে বের করতে পারলেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। অন্তত দিল্লি সেই পথেই এগিয়েই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, এখন গড়ে প্রায় এক হাজার জনের লালারস পরীক্ষা হচ্ছে। তিনি বলেন, “সমস্তরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।”

কোচবিহার প্রথম দিকে গ্রিন জোন ছিল। পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরা শুরু করতেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সময় পরীক্ষার হার বাড়ানোর দাবি করা হয়। অভিযোগ, এ নিয়ে সেই সময় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দীর্ঘসময় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপরে পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিল কোচবিহার। কিছুদিন আগে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ট্রুন্যাট মেশিনে পরীক্ষা শুরু হয়। সেই সময়ে দিনে গড়ে ২০-২৫ জনের লালারসের পরীক্ষা শুরু হয় জেলায়। সম্প্রতি আরটিপিসিআর যন্ত্র চালু হয়েছে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে। কলেজ সূত্রের খবর, সেখানে প্রতিদিন ৩০০ জনের পরীক্ষা হচ্ছে। এ ছাড়া, র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে জেলায়। সবমিলিয়ে পরীক্ষার হার কিছুটা বেড়েছে।

ওই হার যথেষ্ট নয় বলে দাবি করছেন বাসিন্দাদের অনেকে। তাঁদের দাবি, কোচবিহারে দেড় লক্ষাধিক পরিয়ায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের কিছু বেশি বাসিন্দার লালারস পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২৮ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪৫৮ জন।

এ ছাড়া প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তা খোঁজ করে বের করে লালারস পরীক্ষা করাতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তা বলেন, “দিল্লি এবং একাধিক রাজ্যে বাড়ি বাড়ি ঘুরে র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে। সেখানে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে আক্রান্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে।” আক্রান্ত চিহ্নিত না হলে প্রকোপ আটকানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে স্বাস্থ্য দফতরের অনেকেই জানান।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy