প্রতীকী ছবি
কোয়রান্টিন কেন্দ্রই হয়ে গেল ‘কোভিড হাসপাতাল’। মালদহের গাজলের উপদেল গ্রামে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই কেন্দ্রে থাকা ৩৫ জন আবাসিকের মধ্যে ৩২ জনেরই লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তিন জনকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকি ২৯ জনকে ওই কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রেখেই চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, আক্রান্তদের মধ্যে কারও কোনও উপসর্গ নেই। তাই কোয়রান্টিন কেন্দ্রেই তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এক কোয়রান্টিন কেন্দ্রে একসঙ্গে অধিকাংশ আবাসিক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগে জেলার চিকিৎসক মহলের একাংশ।
গাজল ব্লকের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপদেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে কোয়রান্টিন কেন্দ্র। উপদেল গ্রামের অনেকে ছিলেন ভিন্ রাজ্যে। ২০ দিন আগে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরল থেকে ফিরে আসেন ৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। প্রশাসনের তরফে তাঁদের ওই কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রাখা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়রান্টিন কেন্দ্রে তিন আবাসিকের জ্বর, কাশি হয়েছিল। তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিন জনেরই রিপোর্ট আসে পজ়িটিভ। তাঁদের ভর্তি করা হয় পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের কোভিড হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে ওই কেন্দ্রের ৩২ জন আবাসিকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৯ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ। বাকি তিন জনকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে সরানো হয়েছে। ২৯ জনকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রেখেই চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবতী বলেন, “আক্রান্তদের কারও কোনও উপসর্গ নেই। তাই কোয়রান্টিন কেন্দ্রেই তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। আর বাকি তিন জনেরও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে ফের পরীক্ষা করা হবে।”
কোয়রান্টিন কেন্দ্রের অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, “কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলিতে একসঙ্গে ৩০-৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিককে রাখা হচ্ছে। ঠিকমতো খাবার দেওয়া হচ্ছে না। বাড়ি থেকেই খাবার যাচ্ছে। তাতে পরিবারের লোকেদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে।” গাজলের তৃণমূল বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস বলেন, “সাংসদ মাঠে-ময়দানে নেই। শুধু প্রচারে আছেন। কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy