Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪

আর করোনা নেই তো! চিন্তা জেলায়

রশাসনিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল বাহারালের ওই গ্রামে গিয়ে বৃদ্ধার পরিজন-সহ আশপাশের কয়েক জন বাসিন্দা এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা অন্য লোকেদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০৭:১১
Share: Save:

রতুয়ার বাহারালে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার সংস্পর্শে আসা অন্তত ৫০ জনের লালারসের নমুনা নেওয়া হল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল বাহারালের ওই গ্রামে গিয়ে বৃদ্ধার পরিজন-সহ আশপাশের কয়েক জন বাসিন্দা এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা অন্য লোকেদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন। তাঁদের বাইরেও ওই বৃদ্ধার সংস্পর্শে এসেছেন এমন লোকেদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৭১ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ওই হাসপাতালের পরীক্ষাগারে। তার মধ্যে ২৬৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। তিন জনের রিপোর্ট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি (ইনকনক্লুসিভ )। বৃহস্পতিবার ওই পরীক্ষাগারে নতুন করে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। রাত পর্যন্ত রিপোর্ট মেলেনি।
সোমবার করোনা-মানচিত্রে ঢুকেছিল মালদহ। মানিকচক কলেজের সরকারি কোয়রান্টিনে থাকা এক জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার রাতে সামসি পলিটেকনিক কলেজের সরকারি কোয়রান্টিনে থাকা রতুয়া বাহারালের বাসিন্দা ৬০ বছরের বৃদ্ধার করোনা-রিপোর্টও পজিটিভ আসে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই দু’জনকে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাহারালের আক্রান্ত বৃদ্ধা মহারাষ্ট্র থেকে ১০ দিন আগে স্থানীয় এক মহিলার মৃতদেহ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে বাড়িতে ফেরেন। দু’দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তখন তিনি অন্তত ৫০ জনের সংস্পর্শে আসেন।
মালদহ জেলায় করোনা আক্রান্ত দু’জন রোগীর খোঁজ মেলায় জেলা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দারা জানান, লালারসের পরীক্ষার হার বাড়তেই পর পর দু’জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল। আরও কি নতুন রোগীর সন্ধান মিলতে পারে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে। বাসিন্দাদের দাবি, গত দু’সপ্তাহের মধ্যে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে এ জেলায় পৌঁছেছেন, তাঁদের সকলেরই যেন লালারস পরীক্ষা করা হয়।
মালদহের নারায়ণপুর বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চালু করেও জেলার দুই করোনা আক্রান্ত রোগীকে কেন প্রায় সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল— তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দুই রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, রোগীকে এত দূরে রাখায় তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া যাচ্ছে না।
এ দিন বিকেলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রিপোর্ট ‘পোস্ট’ করে অভিযোগ করেন— ‘মালদহ জেলার করোনা সংক্রান্ত তথ্য লুকনো হচ্ছে কেন? বিভিন্ন মহলে জানা যাচ্ছে যে মানিকচক, রতুয়া, সামসি ও ইংরেজবাজার এলাকায় অনেকে করোনা আক্রান্ত।’
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য জেলা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘লুকানোর কিছু নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE