প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ দিনাজপুরে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছাপিয়েছে যক্ষ্মা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ বছরের জানুয়ারি থেকে অগস্ট পর্যন্ত জেলায় যক্ষ্মায় আক্রান্ত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এখনও পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪১ জন। ভারতে যক্ষ্মায় মৃত্যুহার ৩.২ শতাংশ। সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুরে তা ১৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। দফতর সূত্রে খবর, গত বছর যক্ষ্মায় জেলায় মাত্র ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
করোনা রুখতে গিয়ে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তপন ব্লকের আউটিনা অঞ্চলের বিষ্ণুপুর, আটিলা ও কাঁকনা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যক্ষ্মা আক্রান্ত প্রায় ৩০ জনের চিকিৎসা চলছে। তার মধ্যে কাঁকনা এবং বিষ্ণুপুরে ২৩ থেকে ৩২ বছরের ১১ জন ভিন্ রাজ্যের শ্রমিক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে এলাকায় ফেরেন। তা ছাড়া স্থানীয় ভাবে যক্ষ্মায় আক্রান্ত এলাকার বেশ কয়েক জন গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়েছে। রোগ সারাতে জেলা এবং ব্লক স্বাস্থ্যকর্মী ও আধিকারিকদের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর তপনের পাশাপাশি কুশমণ্ডি, হরিরামপুর, গঙ্গারামপুর, হিলি, বংশীহারি ও কুমারগঞ্জ এলাকাতেও এ বছর যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু বেড়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক সুকুমার দে যক্ষ্মায় মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে জানান, ‘ডটস’-এর (ডাইরেক্টলি অবজার্ভ ট্রিটমেন্ট সর্টকোর্স কেমোথেরাপি) আওতায় রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। তবে করোনা আবহে সমন্বয়ের অভাবে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে অনেক সময় ওযুধ সরবরাহে দেরি হয়। দ্রুত পুরো বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা জুড়ে এই মুহূর্তে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তপনের লস্করহাট এলাকায় তিন জন যক্ষ্মারোগী মারা গিয়েছেন। স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকদের কথায়, ‘‘অনেক যক্ষ্মা রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ভেবে সব ওষুধ শেষ করেন না। ফের তাঁরা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy