‘মোহনে’র ম্যাসকট।
পুজোর মরসুমে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে করোনা সংক্রমণের হার বাড়বে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের। তার উপর উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় আক্রান্তদের ‘ভাইরাল লোড’ও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবদিক থেকে তৈরি থাকতে তৎপরতা শুরু হয়েছে কোচবিহারের স্বাস্থ্য, প্রশাসনের অন্দরেও। প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিকাঠামো বাড়ানোর পাশাপাশি বাসিন্দাদের সচেতনতার বার্তা দিতে প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘মোহনে’র ম্যাসকট। কোচবিহারের বাণেশ্বর বিরল প্রজাতির কাছিমের বাসস্থান। এলাকার বাসিন্দারা ওই কাছিমদের ‘মোহন’ নামে ডাকেন।
প্রশাসনের দাবি, সঠিক ভাবে মাস্ক পরা হলে সংক্রমণের আশঙ্কা কম থাকে। পুজোর আনন্দেও তা মাথায় রাখার বার্তা দিতেই ‘মোহনে’র মুখে মাস্ক পরিয়ে করা ম্যাসকটে ট্যাগলাইন দেওয়া হচ্ছে, ‘আমার মাস্কই আমার ভ্যাকসিন।’ কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “আমরা সমস্ত দিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে কোচবিহারের বাসিন্দাদেরও সবার সহযোগিতা দরকার। মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বিধি-সহ অন্য সতর্কতা মানতে হবে। সবার চেষ্টায় করোনার বিরুদ্ধে জয় আসবে।”
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ব্লক, মহকুমা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন জেলাশাসক। আগামী সপ্তাহে ফের দুই দফায় বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান,বাড়তি অক্সিজেন,ওষুধ মজুত রাখার ব্যাপারেও হোমওয়ার্ক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া সেফ হোম ফের তৈরি রাখা, আসন সংখ্যা বাড়ানো, গুরুতর অসুস্থদের জন্য নতুন ভবনে পরিকাঠামো গড়ে তোলার মতো নানা ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেইসঙ্গে কিছু সমস্যায় অসুস্থ বয়স্কদের তালিকাও করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহারের চকচকা এলাকায় জেলার একমাত্র কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে শয্যা সংখ্যা ১২০টি। কোচবিহার সদরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেফ হোম রয়েছে। পলিটেকনিক কলেজের সেফ হোম অবশ্য বন্ধ। প্রশাসন সূত্রের খবর, রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসার জন্য একটি নতুন ভবন দেখা হয়েছে। ইন্ডোরের সেফ হোমে শয্যা বাড়ানো, পলিটেকনিকে সেফ হোম চালুর ভাবনা মাথায় রাখা হচ্ছে। অন্য মহকুমাতেও একইভাবে তৈরি থাকতে বলা হচ্ছে। কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণ বলেন, “ সংক্রমণ রুখতে সচেতনতা বেশি জরুরি। সামগ্রিক বিষয়ে স্বাস্থ্য, প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।” কোচবিহারের সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy