প্রতীকী ছবি।
পুজোর আগেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের মধ্যে ভাইরাল লোড বা রোগের তীব্রতাও বাড়ছে। এই অবস্থায় শিলিগুড়ি তথা দার্জিলিং জেলায় কোভিড হাসপাতাল এবং সেফ হোমে শয্যা বাড়াতে পরিকল্পনা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় শিলিগুড়ির দু’টি কোভিড হাসপাতাল প্রায় ভর্তি। তার উপর জেলাগুলি থেকে করোনা আক্রান্ত জটিল পরিস্থিতির রোগীদের শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই। পুজোর মধ্যে বা পুজোর পর আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদেরও আশঙ্কা। সে কথা মাথায় রেখে এখনই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। রোগী আরও বাড়লে শয্যা বৃদ্ধি করতে যাতে সমস্যা না হয়, সে লক্ষ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘সংক্রমণ বাড়ছে। পুজোয় সেটা আরও বাড়তে পারে। সেই মতো শয্যা বৃদ্ধির বিষয়টি ভাবা হয়েছে। প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন মতো শয্যা বাড়ানো হবে। হাসপাতালে শয্যা কতটা বাড়াতে হবে, সেটা দ্রুত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় শিলিগুড়িতে দু’টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। বর্তমানে মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতাল পুরোপুরি সরকারি ব্যবস্থায় চললেও কাওয়াখালি কোভিড হাসপাতাল চালানোর দায়িত্ব নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের হাতে দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে নিখরচায় চিকিৎসার জন্য সরকারি ভাবে ১০০টি শয্যা রাখা হয়েছে। রোগী আছেন ৯০ জনের মতো। তা ছাড়া আইসিইউ’তে ২৮টি শয্যা রয়েছে। সেখানে কার্যত জায়গা নেই। এই কোভিড হাসপাতালে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের ৬০টি শয্যা রয়েছে। সেখানে পরিষেবা পেতে খরচ লাগবে। অন্য দিকে, মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতালে ১১০টি শয্যা রয়েছে। তা ছাড়া ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ২২টি শয্যা। আইসিইউ’তে জায়গা নেই। অন্যান্য শয্যায় ১০০ জনের মতো রোগী রয়েছেন। এই কোভিড হাসপাতাল পুরোপুরি সরকারি ব্যবস্থায় চলছে।
শিলিগুড়িতে বর্তমানে হাতিঘিষা এবং শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়াম এই দু’টি সেফ হোম চলছে। দু’টি মিলিয়ে ১০০ শয্যা। দু’টি মিলিয়ে রোগী রয়েছেন ৩০ জনের মতো। বাতাসি এবং ফাঁসিদেওয়ার লিম্বুটারিতে সেফ হোমের পরিকাঠামো রয়েছে। প্রয়োজন মতো সেগুলি ফের খুলে দেওয়া হবে। পাহাড়ে ২৫টি করে শয্যার দু’টো সেফ হোম রয়েছে।
দার্জিলিঙে বাতাসিয়াতে টিবি হাসপাতাল এবং কার্শিয়াংয়ে আরেকটি হাসপাতাল আছে। এই দু’টি হাসপাতালেই কয়েক জন রোগী রয়েছেন। আক্রান্তদের পরিস্থিতি বুঝে হোম আইসোলেশন এবং সেফ হোমে রাখতে বলা হচ্ছে। বর্তমানে দার্জিলিং জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। বেশিরভাগ রোগীই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। দার্জিলিং জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সব চেয়ে বেশি, ১৮.৭৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ভাইরাল লোড বা রোগের তীব্রতা বেশি— এমন রোগীর সংখ্যা সেপ্টেম্বরে ২১ শতাংশ থেকে এখন বেড়ে হয়েছে ৫১ শতাংশ। এই রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাই পুজোয় সরকারি কোভিড হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট হতে চলেছে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরই।
জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy