Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Coronavirus

জলপাইগুড়ি সংক্রমিত

এর আগে জলপাইগুড়ি শহর বা শহর লাগোয়া এলাকায় করোনার খোঁজ মেলেনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০৬:৩৩
Share: Save:

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের এক নার্সিং পড়ুয়ার শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের গড়ালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহিরা পাড়া গ্রামের ওই ছাত্রী কলকাতার চিত্তরঞ্জনে নার্সিং পড়তেন। ৯ মে জলপাইগুড়ির ফেরেন তিনি। ১৩ মে স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তাঁকে চিহ্নিত করেন। তাঁকে কোভিড হাসপাতালের সারি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। ১৪ তারিখে পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়। করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ আধিকারিক সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে।’’ কারা ওই ছাত্রীর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা খোঁজ করা হচ্ছে।

কোভিড হাসপাতালের সারি বিভাগে ১০ জন ভর্তি রয়েছেন। এঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা। এই নার্সিং পড়ুয়ার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় স্বভাবতই ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। রাতেই হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে জলপাইগুড়ি শহর বা শহর লাগোয়া এলাকায় করোনার খোঁজ মেলেনি। এ বারে সংক্রমণের খবরে স্বাস্থ্য দফতরের কপালেও চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, বাইরে থেকে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে জলপাইগুড়িতে। এই সময়ে সংক্রমণও যথেষ্ট বাড়ার আশঙ্কা আছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতেই স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ওই ছাত্রীর বাড়ির ১৭ জনকে চিহ্নিত করেছেন।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল গড়ালবাড়ির ওই নার্সিং পড়ুয়ার বাড়িতে যাবেন। বাড়ির লোকেদের কোয়রান্টিন করার পাশাপাশি ছাত্রীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

কোভিড হাসপাতালের সারি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা যাঁরা ওই আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরকেও ১৪ দিনের কোয়রান্টিন রাখা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে।

গড়ালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গিরিবালা রায় বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও খবর স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাঠানো হয়নি। তবে গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে।’’

ওই পড়ুয়ার সঙ্গে আরও ১৮ জন ফিরেছিলেন। তাঁরা সকলেই আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। তাঁদের তালিকা পেয়েছে পুলিশ। যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। নার্সিং পড়ুয়ার পরিবারের যে ৭ জন হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন, বুধবার তাঁদের লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE