Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

গৃহবাসেও হানা করোনার, আতঙ্ক জেলায়

রাজস্থানের কোটা থেকে জেলায় ফিরেছেন দুই শতাধিক পড়ুয়া। তাঁদের প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যদিও সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অভজিৎ সাহা 
মালদহ শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০৬:৩৯
Share: Save:

কেউ হেঁটে ফিরেছেন। কেউ দীর্ঘপথ সাইকেলে ফিরেছেন গ্রামে। ভিন্ রাজ্য বা জেলা থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ করে পাঠানো হচ্ছে ‘হোম কোয়রান্টিনে’। তাতে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরেরই আধিকারিকদের একাংশের। ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকা হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিন্ রাজ্য ফেরত সাত জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলায় হইচই পড়েছে মালদহে। ভিন্ রাজ্য বা জেলা থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘প্রতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে’ রেখে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করার দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।

রাজস্থানের কোটা থেকে জেলায় ফিরেছেন দুই শতাধিক পড়ুয়া। তাঁদের প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যদিও সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। অজমের থেকে জেলায় ফেরা দুই শতাধিক মহিলা-পুরুষেরও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকা অজমের ফেরত সাত জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হতেই আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে।

একই সঙ্গে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই কেন পরিযায়ী শ্রমিকদের হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে? উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “প্রশাসনের উচিত রিপোর্ট আসা না পর্যন্ত পরিযায়ীদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে রাখা। রিপোর্ট দেখার পরেই বাড়িতে ফেরানো হবে। তবে জেলায় সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না।’’ হবিবপুরের মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা তারক সাহা বলেন, ‘‘রাজস্থান থেকে আমাদের গ্রামে এক জন ফিরে এসেছেন। স্বাস্থ্য দফতর তাঁর শুধু থার্মাল স্ক্রিনিং করেছে। তার পরে তাঁকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। ওই যুবক বাড়িতে থাকলেও তাঁর পরিবার নানা কারণে বাইরে বের হচ্ছেন। উদ্বেগের মধ্যে দিয়েই আমাদের দিন কাটছে।”

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন্ রাজ্য থেকে মালদহে ফেরা প্রায় ২০০ জন প্রতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে রয়েছেন। প্রথম দিকে সেই সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। তেলঙ্গানায় ১৭ হাজার, উত্তরপ্রদেশে ১০ হাজার, বিহারে ৭০০ এবং ঝাড়খণ্ডে ১৭০০ এ রাজ্যের শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাঁদের ফেরানো হচ্ছে। কেন প্রতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনের সংখ্যা কমানো হচ্ছে জেলায়? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তা বলেন, “জেলার হাজার হাজার শ্রমিক বাইরের রাজ্যে রয়েছেন। সকলকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে রাখা নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে।” মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক অশোককুমার মোদক বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy